হাতিয়া প্রতিনিধি:
নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
হাতিয়া প্রতিনিধি:
নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার। আজ সোমবার সকালে হাতিয়া প্রেসক্লাব হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লেখিত বক্তব্যে মেসার্স নাদিয়া ট্রেডার্স এন্ড ড্রাইক্লিনার্স এর মালিক আবুল কাশেম বলেন, গত ২৯ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালামাল সরবরাহের একটি টেন্ডার ড্রপিং হয়। এতে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭ জন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার টেন্ডার গ্রহণ করে বিকালে সবাইকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের দেওয়া মূল্য তালিকা প্রকাশ করে দিবে বলে জানান। কিন্তু বিকালে গেলেও মূল্য তালিকা প্রকাশ না করে সবাইকে পরের দিন আসতে বলে।
পরের দিন যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলেন, টেন্ডারের কাগজপত্র সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আসার পরে মূল্য তালিকা জানানো হবে।
লেখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, নিয়মানুযায়ী যে দিন টেন্ডার ড্রপিং হয়, সেদিন মূল্য তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেন্ডার ড্রপিং করলে নিয়ম মেনে বিকালে মূল্য তালিকা জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে টেন্ডার ড্রপিং হয়েছে ২৯ অক্টোবর।
আজ ৪ নভেম্বর। দীর্ঘ ৬দিন পরও জানা গেল না এই টেন্ডার কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। তবে তারা ভিতরে ভিতরে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন করেছে তাদেরকে টেন্ডারটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এর আগে একই অভিযোগে মো: আরফাজ উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, নিজাম উদ্দিন সহ আরো তিন ঠিকাদার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লেখিত অভিযোগ করেন। তাতেও টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, এই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা কয়েকজন ঠিকাদারের প্রতিনিধি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর টেন্ডার অনিয়ম অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মানসি রানী সরকারের নিকটে বিষয়টি জানতে হাসপাতালে গেলে অফিস চলাকালীন সময়ে পাওয়া যায় নি।
পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মাহমুদুর রহমান বিষয়টি অভিহিত করলে তিনি কল দেন তার নিকটে এসময় তিনি আর এম ও শেখ মাহমুদুর রহমানকে বলেন, আপনি সাংবাদিকদের একটু সামলে নেন, প্রতিউত্তরে ডাক্তার শেখ মাহমুদুর রহমান বলেন, আপনার কাজ আমি সামলাবো কেমন করে।পরে মানসি রাণী সরকার কে প্রতিবেদক ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বলেন, এই বিষয়ে কয়েকজন ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়মের বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বিআরইউ