কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদরাসাছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে জেলা তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।
ঘোষিত রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া দুই আসামিকে পাঁচ হাজার করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলা চলাকালে জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুক ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত রিয়াজ উদ্দিন অনুপস্থিত ছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাদী ও আসামিরা সকলেই পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন গত ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। দুদিন পর স্থানীয় একটি বিলের পানির তিন হাত গভীরে বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদেহ পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এনামুলের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী লিখিত এজাহারে অভিযোগ করেন, আমার ছেলে সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই আসামিরা তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পরে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারুক আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে সন্দেহে আবুল হোসেনকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে পানির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।
ইএইচ