রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল
নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল
নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
অসময়ে আগ্রাসী যমুনার রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী গ্রামের দশখাদা এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে ২৫টি পরিবারের ঘর-বাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। ফলে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিনিয়ত শ’ শ’ বালুবাহী বাল্কহেড নদীর তীর ঘেঁষে চলাচল করায় যমুনা রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ২৫টি পরিবারের ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে ওই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। নদীতীর ঘেঁষা প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমেও যমুনা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় নদী তীরবর্তী চরপৌলী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করেই গত কয়েক দিনে যমুনার দশখাদা এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ২৫টি ঘর-বাড়ি যমুনার পেটে চলে যায়। পাউবো দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জেলার সবচেয়ে বড় চরপৌলী গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি যমুনাগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তারা অতিদ্রুত শুষ্ক মৌসুমের ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল আলম ও আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, তারা দিনমজুরি করে দিনাতিপাত করে থাকেন। এক সময় তাদের জমিজমা, অর্থ-সম্পদ সবই ছিল। সেসব রাক্ষসী যমুনা সব কেড়ে নিয়েছে। তারা দুজনেই চারবার যমুনার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবারের ভাঙনে তারা পথে বসে পড়েছেন। সরকারি সহযোগিতা না পেলে তারা আরও বিপাকে পড়বেন।
কাকুয়া ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে যমুনাতীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ২৫ পরিবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করা হলে তাদের খোলা আকাশের নিচে অথবা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া হয়তো কোন উপায় থাকবে না।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, যমুনা নদী সব সময়ই আগ্রাসী- এটা যে কোন সময় রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে। অসময়ে যমুনার ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ইএইচ