Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪,

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন নবাব

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

নভেম্বর ৯, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন নবাব

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন নেত্রকোণার মদন উপজেলার মেহেদী হাসান মিন্টু নবাব (৩০)। নবাব উপজেলার চাঁন গাও ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের মো.খোকন মিয়ার ছেলে ও সে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।  

তিনি ডান চোখে দেখতে পেলেও বাম চোখে মোটেও দেখতে পাচ্ছেন না এখন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না তার পরিবার।

নেত্রকোণা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নবাব। এদিকে বিনাচিকিৎসায় বাঁ চোখ স্বাভাবিক না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত ১৮ জুলাই মদন উপজেলার মগড়া নদীর ব্রীজের উপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশের ছোড়া ২৪৭ টি রাবার বুলেট লাগে মেহেদী হাসান মিন্টু নবাবের শরীরে। গুলিবিদ্ধ নবাব ছোটাছুটির এক পর্যায়ে বাঁ চোখেও আক্রান্ত হন। পরে সহপাঠীদের সহায়তায় তাকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নেন। চিকিৎসকরা জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই হাসপাতালে রেটিনা অপারেশন করতে হবে।

নবাবের বাবা মো. খোকন মিয়া জানান, তিনি কৃষি কাজ করে সংসার চালাতেন। কিছু  ফসলি জমি ছেলের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করেছেন। ধারদেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। এখনও তার চোখের অপারেশন বাকি একটি গুলি রয়েছে চোখে। এসময় ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এইচ পিপুল বলেন, আমাদের সাথে মদন উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা আহত মেহেদী হাসান মিন্টু নবাবের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের কাছে সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাই আহত নবাবকে যেন যোগ্যতা অনুযায়ী অচিরেই একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।

মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চানগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম তালুকদার আমার সংবাদকে জানান, ‘১৮ জুলাই পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের স্থানে নবাব গুলিবিদ্ধ হন। তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে নবাবের পরিবার খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নবাব ছাড়াও উপজেলায় আরো অনেক লোক আহত হয়েছেন। আমরা আহতের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আহতরা যাতে সহযোগিতা পায়, তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ আমাদের মানবিক নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা আহত নিহত সকলের খোঁজ খবর নিচ্ছি এবং ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আরএস
 

Link copied!