Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বাঞ্ছারামপুর

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম


বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বাঞ্ছারামপুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুছা হায়দার, বিএনপির কর্মী অরুণ মিয়া, ফুলমিয়া, দানু মিয়া, কেশপদ দাসসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

এ সময় কয়েকটি দোকান ঘর ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সদরের প্রতাপগঞ্জ বাজারের মুসা মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ২০ নভেম্বর বুধবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একটি অংশ।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের মাতুর বাড়ির মোড় থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক পিএসসি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ড. সাইদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে প্রতাপগঞ্জ বাজারের কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম মুসার মালিকানাধীন মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলে কয়েকজন ঢিল ছুড়ে মারে। এ সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।  ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে ইটের আঘাতে ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়।

আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নেয় এদের মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুসা হায়দার জানান, আমরা মিছিল নিয়ে মুসা মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ছাদের উপর থেকে আমাদের উপর ইট দিয়ে ঢিলাতে থাকে এ সময় আমাদের প্রচুর নেতাকর্মী আহত হয় আমি নিজেও আহত হয়েছি। ইচ্ছে করে আমাদের মিছিলের উপর হামলা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রঞ্জন বর্মন জানান, এখন পর্যন্ত ৫৪ জন চিকিৎসা নিয়েছে, তবে কেউ ভর্তি হয়নি। ঢাকায় গিয়েছে অনেক রোগী।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক পিএসসি জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে মুসা মার্কেটের সামনে দিয়ে আসার সময় বিনা উস্কানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এ সময় ৬০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কাউন্সিল বাতিলের দাবিতে মিছিল বের করেছিলাম।

বাঞ্ছারামপর থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, দুপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইএইচ

Link copied!