Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শেবাচিমের ৫৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

নভেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম


শেবাচিমের ৫৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

‘আসুন, স্মৃতির সরণি ধরে হারিয়ে যাই সেই দিনগুলোতে’ এমনই এক অনুভূতিকে অম্লান করে রাখতে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় এক আনন্দময় মুহূর্তের অবতারণা হয়।

১৯৬৮ সালের এই দিনে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রাক্তন, বর্তমান ও নতুনদের মিলন মেলার এই আয়োজন সকাল ৯টায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।

এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি ডা. এ কে এম আক্তার মোর্শেদ, বিশেষ অতিথি মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক ডা. কহিনুর বেগম, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. রফিক আল কবির লাবু, বরিশাল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, সদস্য সচিব ডা. সৈয়দ ইমতিয়াজ উদ্দিন সাজিদ, ঢাকা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর উপস্থিতিতে ৫৬তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরপর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ১০টায় ৫৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে বান্দরোড, চাঁদমারি প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।

সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ক্যাম্পাসে কেক কাটা, চা-চক্র শেষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, জুলাই-আগস্টের শহীদদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রীতি ফুটবল খেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় কলেজ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫৬ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জা করা হয়। এছাড়া মিলন মেলার জন্য একাধিক দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল নির্মাণসহ লাল গালিচা বিছানো হয়।

এবারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুলসংখ্যক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করায় এ অনুষ্ঠান আনন্দময় ও স্মৃতিময় হয়ে উঠে। এবারের অনুষ্ঠানের সার্বজনীনতা সকলের জন্য আরও উপভোগ্য হয়।

ইএইচ

Link copied!