সিলেট ব্যুরো
নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
সিলেট ব্যুরো
নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে চা শ্রমিকরা। এ জন্য চা শ্রমিকরা থাকেন না চোখের সামনে। শতবর্ষ ধরে তারা কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও মৌলিক অধিকার থাকে অনিশ্চিত। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার আন্দোলন করেও ন্যায্য অধিকার পায়নি। দুর্দিন যেন কাটছেই না চা বাগান শ্রমিকদের।
সিলেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীনে থাকা ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বন্ধ দীর্ঘদিস থেকে। কবে নাগাদ দেয়া হবে তাও জানা নেই কারো। বাগানগুলোর শ্রমিকরা গেলো আড়াই মাস যাবত মানবেতর জীবন পার করছেন। অনেকেই দিন গুনছেন কবে স্বাভাবিক হবে বাগানের কার্যক্রম। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।
তবে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, তহবিল না থাকায়, তৈরি হয়েছে এই সংকট। তার দাবি, এক মাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিকরা কাজে না যাওয়ায় এরই মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
সিলেটের লাক্কাতুরা মাজলাইনের চা শ্রমিক সরস্বতী লোহার বলেন, অনেক কষ্টে জীবনযাপন করলাম। তবুও একদিন খাই একদিন না খেয়ে ঘুমাই। আমাদের তো কিছু না, কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চাদের কয়দিন না খাওয়ায়ে রাখব।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, সরকার পদক্ষেপ নিলে এটার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কেন করছেন না এটা আমি জানি না। আমি আবারো অনুরোধ করব কোম্পানি ও সরকারের কাছে যাতে দ্রুত বাগানগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রসঙ্গত- সিলেট বিভাগে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১২টি চা বাগান রয়েছে। যেখানে কাজ করেন, ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক।
আরএস