টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈধ ক্যাটেল করিডোর বন্ধ থাকায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে মিয়ানমার থেকে ঢুকছে গবাদিপশু। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পশু আমদানির সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ।
পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় বিগত ২৭ জুন ২০২১ইং তারিখে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ করিডোরটি বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট লোকজন মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও
বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ করেছে। বিগত ২০০৩ইং হইতে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি শুরু হয়। শুরু হওয়ার
পর হতে এই করিডোরের মাধ্যমে মিয়ানমার হইতে গরু, মহিষ, ছাগল আমদানি করে এক বছরে প্রায় ০৪ (চার) কোটি টাকা নিয়মিত ধার্য ভ্যাট, টাক্স প্রদান করেছিল। এছাড়া ঈদুল আযহার সময়ে অতিরিক্ত দুই মাসে
প্রায় ২ কোটি টাকার ট্যাক্স প্রদান করে।
ব্যাপারে শাহপরীরদ্বীপের গবাদি পশু আমদানিকারক মো. জুবাইর অভিযোগ করে বলেন, গজনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি এলাকার বাংলাদেশ সীমান্তের ৪২,৪৮,৫২,৪৫ নং সীমানা পিলারের কাছাকাছি এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার গবাদি পশু বাংলাদেশে আনা হয়। অথচ শাহপরীরদ্বীপ বৈধ করিডোর বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে পশু আমদানি করতে আমাদের থেকে কোটি কোটি টাকা অগ্রিম বিনিয়োগ করা হয়েছে। উক্ত ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য আমরা সকল ব্যবসায়ীরা ব্যাংক হইতে (সি.সি) ঋণগ্রহণ করি এবং পশু আমদানি করার জন্য মায়ানমারে অগ্রিম টাকা জমা করা হয়েছিল। হঠাৎ (ব্যাংক হইতে ভুয়া ঋণ গ্রহণকারী কিছু অসাধু পশু বিহীন ভুয়া খামারি তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ.ম
রেজাউল করিম, সাংসদ বদি, জাফর আলম, সাইমুম সরওযার কমল এর যোগসাজশে মন্ত্রী পরিষদ মন্ত্রণালয়কে ভুল তথ্য পরিবেশন করে কোন ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি না করে শাহপরীরদ্বীপের পশু আমদানির করিডোর বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আমরা ব্যবসায়ীগণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারছি না এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত করিডোর খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্নভাবে মানববন্ধন ও সভা- সমাবেশ চিঠিপত্রসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছি। তাই উক্ত করিডোর খুলে জোর দাবি জানাচ্ছি।
অপর এক গবাদি পশু আমদানিকারক মো.আলমগীর বলেন- শাহপরীরদ্বীপ করিডোরটি খুলে দিলে কক্সবাজার জেলার হাজার হাজার সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্য, গরু লালন-পালনকারী, এদিক-সেদিক নিয়ে যাওয়ার শ্রমিকসহ ট্রলার থেকে পশু আনলোডের শ্রমিকেরা দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে পারবে। এখন করিডোরটি বন্ধ হওয়ায় তারাও বেকার হয়ে পড়েছে এবং কক্সবাজার জেলায় কোনো গরুর খামার না থাকায় সকলে অর্ধাহারে ও অনাহারে ভুগিতেছে। উক্ত করিডোর খুলে না দিলে বেকারত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিস আরিফ উল্লাহ নিজামী বলেন, গবাদি পশু সংক্রান্ত ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষ বরাবর করিডোর খুলে দেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বিআরইউ