তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় আগাম শীত শুরু হয়েছে। শীত মৌসুমে তাড়াশে তৈরি সুস্বাদু ও ভেজালমুক্ত খেজুর গুড় এলাকার ব্যাপক চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে দেশের নানা স্থানে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এ গাছ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন রস সংগ্রহ হয়ে থাকে। আর ওই রস থেকে তৈরি হয় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিকটন সুস্বাদু খেজুর গুড়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এলাকার গাছিয়ারা ছাড়াও রাজশাহী জেলার বাঘা ও চারঘাট, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলা থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি গাছির দল খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করতে তাড়াশ উপজেলায় এসেছেন।
তারা শীত মৌসুমের জন্য এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে গাছ প্রতি ৪ কেজি গুড়ের বিনিময়ে খেজুর গাছগুলো লিজ নেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি গাছগুলো বিশেষ কায়দায় কেটে তাতে হাঁড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয়। ভোর রাত থেকে রস সংগ্রহ করে সকালে বড় কড়াইয়ে করে আগুনে তাপ দেয়া হয়। পাতলা রস গাঢ় হলে তা বাট খাড়ায় ঢেলে তৈরি করা হয় খুড়ি গুড়, পাটালি গুড় ও ঝোলা গুড়।
উপজেলার ১নং তালম ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের গাছি রবিউল ইসলাম জানান, এ বছর আগাম শীত পড়েছে। আমরাও গুড় তৈরি করতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এ উপজেলা থেকে সুস্বাদ ও ভেজাল মুক্ত খেজুর গুড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতি কেজি খেজুর গুড় পাইকারদের কাছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হরিপুর গ্রামের গাছি বেল্লাল হোসেন জানান, আমরা ভেজালমুক্ত সুস্বাদু গুড় তৈরি করি। তাই এ উপজেলার গুড়ের চাহিদা বেশি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শীত মৌসুমে এ উপজেলায় খেজুরের রস থেকে প্রচুর গুড় তৈরি হয়। গুড় তৈরির স্থানগুলো সার্বক্ষণিক কৃষি অধিদপ্তরের অধীনে মনিটরিং করা হয়। তাই তাড়াশের তৈরি সুস্বাদু খেজুর গুড়ের কদর বেড়েছে।
ইএইচ