রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ের পাথর কালী পূজায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এবারও হলো না দুই বাংলার মিলন মেলা।
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার কোঁচল ও চাঁপাসার, গোবিন্দপুর এবং ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট সীমান্তের তারকাঁটার এপার-ওপার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে প্রতি বছর এই দিনে দুই বাংলার হাজার-হাজার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু এবার পূজা অনুষ্ঠিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলার কঠোর নিরাপত্তার কারণে হলো না দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা।
বর্ষ পঞ্জিকা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর গোবিন্দপুর শ্রী-শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালি) পূজা উপলক্ষ্যে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে কুলিক নদির পাড়ে মেলা উদযাপন করে থাকেন। আর এ পূজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরে এই দিনে দূরদূরান্ত থেকে দু’দেশের স্বজনরা ভিড় জমায় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার চাপাসার ও রাণীশংকৈল উপজেলার কচল সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬ নং পিলার এলাকার তারকাঁটার বেড়ার এপার-ওপার।
তবে গত বছর শুক্রবার পূজা ও মেলা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে দু’দেশের স্বজনরা সীমান্তে সমবেত হতে দেখা গেলেও স্বজনদের সাথে দেখা ও কথা বলার সুযোগ হয়নি প্রশাসনের কড়াকড়ি নজরদারিতে।
মিলনমেলায় ঘুরতে আসা মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে না পেরে হতাশা হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গতবার হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটলেও এবার সীমান্তে ও তার আশপাশের এলাকায় তেমন লোকসমাগম ঘটেনি।পূজাও হয়েছে ঢিলে ঢালা ভাবে।
পূজা কমিটির সভাপতি নরেন কুমার পাল জানান, দীর্ঘ শতবছর ধরে পাথর কালীপূজা অতি উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য পালন হয়ে আসছে। তবে গত বছর থেকে সীমান্তে মানুষ ভিড়তে না দেয়ায় মেলার আকর্ষণ অনেক কমে গেছে। ফলে লোকসমাগম নেই বললেই চলে। তবে পূজা উদযাপন হয়েছে। মূলত এই মেলা দুই বাংলার মিলনমেলা নামে পরিচিতি লাভ করায় এখানে হাজার হাজার মানুষের ঢোল নামে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, পূজা উদযাপন করতে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু সীমান্তে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শূন্য রেখায় মানুষের কোনো সমাগম করতে দেওয়া হয়নি। এজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ইএইচ