হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আমন ধানক্ষেতে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক আল আমিন।
তিনি অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। তার স্ত্রীও অন্যান্য কাজের পাশাপাশি তাকে সবজি চাষে সার্বক্ষণিক সাহায্য করে থাকেন।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে আল আমিন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ১০ শতাংশ জমিতে বড় দুটি মাচায় লাউ চাষ করেছেন। বর্ষা মৌসুমে কাদা ও বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বেড পদ্ধতিতে কয়েক প্রজাতির হাইব্রিড জাতের লাউ গাছের চারা রোপণ করেছেন। মোট দুটি চারা প্রতি চারটি বেড রয়েছে তার ক্ষেতে। সেখানে প্রায় তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করেছেন ওইসব লাউয়ের চারা। ফলে শতাংশ প্রতি ৫০০-৭০০ টাকা খরচ হয়েছে।
এ জাতের লাউ গাছ ৪০-৪৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন দিয়ে থাকে। এর পর থেকে ফলন কমতে থাকে। এজন্য প্রতি ৪ মাস পর পর নতুন করে লাউ গাছের চারা রোপণ কিংবা অন্য কোন ফসলের চাষ করে থাকেন তিনি। এ জাতের লাউ সারা বছর চাষ করা যায়। তাই সব খরচ বাদ দিয়ে আল আমিনের গতবছর প্রায় ২৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
আল আমিনের স্ত্রী জরিনা বেগম জানান, তারা দুজন শখের বসে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চার শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়ে এ বছর ১০ শতাংশের বেশি জমিতে লাউ চাষ করেছেন। রোগ বালাই ও অন্যান্য সমস্যা ইউটিউব দেখে নিজে নিজেই সমাধান করেন। তাই লাউ চাষে তুলনামূলক খরচ কম হয়ে থাকে তাদের। ফলে সব খরচ বাদ দিয়ে এ বছর লাউ চাষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন আল আমিন দম্পতি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহজাহান কবির জানান, অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি লাউ চাষে আল আমিনের এমন অভাবনীয় সফলতা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার দেখাদেখি এখন স্বল্প আয়ের অনেকেই লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই আল আমিনসহ সবাইকে আধুনিক পদ্ধতিতে লাউ চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিতে সচেষ্ট রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
ইএইচ