ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বর্তমান দেশের খাদ্যসংকট মোকাবেলায় গবেষণায় নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক যান্ত্রিক উদ্ভাবন করে দেশের বৈপ্লবিক খাদ্য নিশ্চয়তা সম্ভব।
জানা যায়, বিনার ডিজি ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ২ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে যোগদান করেন।
মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে তিনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস, গ্রেড-২) পদে ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ও ৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সিনিয়র সিলেকশন বোর্ড কর্তৃক উক্ত পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।
পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রায় ২৫ বছর বিনা’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
ড. মো. আবুল কালাম আজাদ ১৯৯৪ সালে উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০৯ সালে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হন।
তিনি ধান, গম, পাট, চিনাবাদাম, পেঁয়াজসহ ২৪টি কৃষি ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিনা ধান-২৫, বিনা গম-১, এবং বিনা চিনাবাদাম-৬।
গামা রশ্মি ব্যবহার করে তিনি তোষা পাটের জাত `বিনা তোষাপাট-১` এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এছাড়া, লবণাক্ত মাটিতে ফসল উৎপাদনের জন্য নতুন জাত উদ্ভাবনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
তার কাজের ফলে কৃষি প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, এবং গামা রশ্মি ব্যবহার করে ফসলের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছেন।
ইএইচ