একজন ‘ক্যারিশম্যাটিক লিডার’ আক্তার মাস্টার

জাতীয় নির্বাচন কবে হবে নিশ্চিত না হলেও সারাদেশের মানুষের মতো গাজীপুর-৩ আসনের জনগণের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই।

অন্যদিকে এই আসনে কে পাবেন ধানের শীষ প্রতীক তা নিয়ে এখনি কিছু বলা না গেলেও এলাকার সর্বত্র আলোচনা তুঙ্গে। অন্যান্যদের মতো বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে একজন হলেন মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।

নতুন প্রজন্মের এই নেতা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে গেছেন একজন ত্যাগী পরিশ্রমী জননেতা হিসেবে। এমন খবরই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে তার ভক্তবৃন্দরা গাজীপুর তিন আসনের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ব্যানারও লাগিয়েছেন। একই সাথে প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৩ আসনে যেসব প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে জনবান্ধব ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।

পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আক্তারুল আলম মাস্টার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে তার কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা স্পষ্ট। এরই মধ্যে স্বচ্ছ নেতা ও তুখোড় বক্তা মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার প্রতিদিন কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে গাজীপুর-৩ আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে গিয়ে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বিভিন্ন হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে সালাম ও কুশল বিনিময় করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কর্মিসভা করে সকলের কাছে সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার। তার পিতার নাম মরহুম হাজী মো. নুরুল ইসলাম শেখ। মাতা মোছা. আয়েশা বেগম। ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করা তরুণ প্রজন্মের এই নেতা উচ্চ শিক্ষিত একজন মানুষ। তিনি প্রথম বিভাগে এম এ পাশ করেছেন।

মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টারের কর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি শৈশব থেকেই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়। ২০১৬ সালে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ব্যাপক ভোটে পাশ করলেও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য পদে দায়িত্বরত আছেন।

একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি, একই সংগঠনের গাজীপুর জেলা শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সভাপতি, টেংরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। আজীবন দাতা সদস্য, টেংরা আলহাজ নওয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসা। সদস্য শ্রীপুর নবারুণ ক্লাব।

বর্তমানে তিনি শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে থাকা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা মুহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টারের নামে প্রায় দুই ডজনের মত রাজনৈতিক মামলা হয়েছিল। এ সকল  মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণও করেছেন তিনি। কারা নির্যাতিত এই নেতা বিএনপি ঘোষিত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে ত্যাগী এই নেতা গাজীপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মন জয় করে চলছেন।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, তারেক রহমান আক্তারুল আলম মাস্টারকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন। তাদের প্রত্যাশা, গাজীপুর-৩ আসন শ্রীপুরের বিএনপি তথা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্পন্দনকে সম্মান করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

মানুষ গড়ার কারিগর, সমাজসেবক, সংস্কৃতিমনা, গাজীপুর-৩ আসনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। স্পষ্টভাষী যার বক্তব্য অন্তরে গেঁথে যায়। সুন্দর উপস্থাপনা, শব্দ চয়ন সব মিলে অনন্য একজন বক্তা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে আক্তারুল আলম মাস্টার ক্যারিশম্যাটিক লিডার।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেতা তারেক রহমান গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দিবেন বলে তাদের বিশ্বাস। কেননা গাজীপুর তিন আসনে এরকম নেতার বড়ই অভাব। দেশের প্রয়োজনে খুব বেশি দরকার একজন আক্তারুল আলম মাস্টার এবং তুল্যমান বহুজন শ্রদ্ধেয় আক্তারুল আলম মাস্টার।

আক্তারুল আলম মাস্টার বলেন, আমার রাজনীতি শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি। আমি রাজনীতি করি আপোষহীন নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও জননেতা তারেক রহমানের। আমার নেতা যদি আমাকে কাজ করার সুযোগ দেয় সেক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

ইএইচ