কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও জেকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো শীতের মাঝে একটু উষ্ণতা পেতে কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়কের দু’পাশের ফুটপাতের দোকানগুলোতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ ছুটছে শীতের পোষাক কিনতে।
সোমবার সকাল ১১টায় শহরের গৌরাঙ্গবাজার ব্রিজের দুপাশে, রথখোলা, আঠারবাড়ী কাচারী বাজার, তেরিপট্টি, পুরান থানা এলাকাগুলোতে শীতের কাপড় কিনতে নারী পুরুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যাই বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যার যার মতো করে শীতের পোষাক কিনছেন। শীতের পোশাকের মধ্যে রয়েছে বড়দের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ব্লেজার, পায়ের মোজা, কানটুপি, ফুল হাতা গেঞ্জিসহ বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের শীতের পোষাক। তবে ক্রেতারা বলছেন গত বছরের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি।
মো. আল-আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় দুদিন ধরে প্রচণ্ড শীত। আমি একটি জ্যাকেট ও একটি কানটুপি কিনেছি। তবে গতবারের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি। দাম কিছুটা কম হলে গরীব ও সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হতো।
শহরের গৌরাঙ্গবাজার পারভীন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি আমার জন্য একটি সোয়েটার ও বাচ্চার জন্য কানটুপি ও মোজা কিনেছি। ফুটপাত হলেও এখানে মোটামুটি ভাল পোষাক পাওয়া যায়। তবে দাম কিছুটা কম হলে হয়তো সকলের জন্য ভাল হতো।
শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় মো. সারোয়ার আলম নামের এক ফুটপাতের ব্যবসায়ী বলেন, ‘এবার শীতের শুরুতেই বেচাবিক্রি অনেক ভাল। এখানে ছোট-বড় সব বয়সেরই শীতের কাপড় পাওয়া যায়। তবে গতবারের তুলনায় আমরা এ বছর বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করি। বর্তমানে শীত খুব বেশি। শীত কমলে আমরা কম দামে কিনে আনলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।
বাচ্চাদের পোষাক বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের পোষাক বিক্রি বেড়েছে। আমার দোকানে তিন মাস থেকে তিন বছরের বাচ্চাদের পোষাক বিক্রি করে থাকি। তবে বাচ্চাদের পোষাক ছোট হলেও তুলনামূলকভাবে দাম একটু বেশি। এ বছর শুরুতেই শীতের প্রভাব বেশি পড়ায় বেচাবিক্রি অনেক ভাল।
ইএইচ