ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
মুক্তিযোদ্ধার সূর্য সন্তানদের প্রতি লাল সালাম, তারা আমাদের চেতনার উৎস বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।
ময়মনসিংহের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত দিনটিতে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নগরীতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেছেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সূর্য সন্তানদের প্রতি লাল সালাম, আপনারা আমাদের গর্ব, আমাদের চেতনার উৎস। আপনাদের অনেক অভিযোগ আছে, দুঃখ আছে, কষ্ট আছে। মুক্তিযোদ্ধারা যারা বেঁচে আছেন কিংবা ইন্তেকাল করেছেন তারা সবাই মিলে আপন কলিজার রক্ত দিয়ে এই স্বাধীন বাংলা উপহার দিয়েছেন। আপনাদের ঋণের কোন শেষ নেই।
এদিন সকালে নগরীর ছোট বাজারের মুক্তমঞ্চে জড়ো হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন এবং জাতীয় সংগীতের তালে তালে পতাকা উত্তোলন করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমেদ, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে মুক্তমঞ্চ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন র্যালি নিয়ে পদযাত্রা করেন। ছোট বাজার থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে অডিটোরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আজকে এই ঐতিহাসিক দিনে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা প্রশাসনের পাশে থাকবেন। বক্তব্য শেষে বিভাগীয় কমিশনার সকল নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ জাতির কাছে আজীবন স্বৃতি হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও ময়মনসিংহের মুক্তির গল্প তুলে ধরা হয়। প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তোলেন।
বিআরইউ
