নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
জন্মলগ্ন থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়ার মানুষ মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।বিশেষ করে চিকিৎসা সেক্টরে সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে।এই উপজেলায় ৮ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য একটি সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালটি কোনোভাবেই দ্বীপবাসীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছে না এদিকে প্রায় ২১শ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ সে দ্বীপ মেঘনার করাল গ্রাসে অর্ধেক বিলীন বাকি অংশটুকুও বিলীনের পথে।
অবশেষে ২১.৩ কিলোমিটার নদী ভাঙ্গনের রোধে ব্লকের প্রস্তাবনা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এদিকে ৫০ শয্যা হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় রুপান্তর হওয়ার অনুমোদন ও দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এত বড় বড় দুটি প্রকল্প এ-র মধ্যে একটির অনুমোদন হওয়া নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে হাতিয়ার মানুষ।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখ্য সংগঠক হাতিয়ার সন্তান আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ৫০ শয্যা হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণের পাশাপাশি হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সসহ বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান, নৌ- অ্যাম্বুলেন্স চালু হবে। শুধু হাসপাতাল নয় হাতিয়ার রাস্তাঘাট উন্নয়ন ভূমিহীনদের জমি ব্যবস্থা করে গৃহায়ন করে দেওয়ার কাজ চলমান। হাতিয়ার মানুষ বিগত সময়ে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে বঞ্চিত ও অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের সুখ দুঃখ নিয়ে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার মানুষ চরম অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। নেতা আসে, নেতা যায়, কিন্তু এ অঞ্চলের ৮ লাখ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই। এখন আর সেসময় নেই, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুন্দর হাতিয়া গড়ে তুলবো।
এছাড়া হাতিয়ার মানুষের দুঃখ খ্যাত ‘নদীভাঙন’ রোধে প্রায় ২১.৩ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ব্লক বাঁধ দেওয়া হবে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্লক নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন হান্নান মাসুদ ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যদি মাত্র তিনমাসে পাঁচটি রাস্তার কাজ হাতে নেওয়া যায়, তাহলে ভাবেন ১০ বছরে কী পরিমাণ কাজ করা যেত! অথচ প্রায় ১ যুগের বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকটি সড়কের বেহাল দশা। যাতায়াত ব্যবস্থাসহ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে সব সেক্টর ধ্বংস করা হয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইখতিয়ার বলেন, আমরা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় রূপান্তর করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, সেক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ আমাদেরকে সহযোগিতা ও আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন এবং সফল ও হয়েছেন আমরা এজন্য ওনার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা খুবই তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করছি।
আরএস