কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০২:১১ পিএম
কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০২:১১ পিএম
গ্রামের সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করে। বিশেষ করে যারা শহরে থাকেন তাদের অনেকেরই মন কিন্তু পড়ে থাকে গ্রামের মেঠো পথে প্রান্তরে।
গ্রামের সবুজ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারও। গ্রামের মায়া মাখা দৃশ্যগুলো চিত্তে অনেক শান্তি দেয়।
তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক উপজেলা কলমাকান্দা, ভারতের সীমানা ঘেঁষা এই উপজেলায় রয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্য ও দর্শনীয় স্থান, সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে পর্যটকরা ছুটে আসে এই উপজেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।কলমাকান্দা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী লেংগুড়া, খারনৈ ও রংছাতি।
কলমাকান্দার দর্শনীয় স্থান রংছাতি ইউনিয়নের চন্দ্রডিঙ্গা :
চন্দ্রডিঙ্গায় রয়েছে চাঁদ সওদাগরের ডিঙ্গাগার পাল যা বড় বড় পাথরের, রয়েছে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঝর্ণা ও ছোট বড় অসংখ্য পাথর এবং বিশাল এক বটগাছ এখান থেকে ভারতের পাহাড়গুলোও খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায়।
পাতলা বন :
পাতলা বনে রয়েছে পাহাড় ভারতের সীমানা এবং সৌন্দর্যে ভরপুর নদী ও বালুচর।
লেংগুড়া ইউনিয়নে রয়েছে,
গনেশ্বরী রাবার ড্যাম :
লেংগুড়া বাজারের পাশেই অবস্থিত গনেশ্বরী নদীর উপর অবস্থিত এই রাবার ড্যাম যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
মমিনের টিলা :
বিশাল উঁচু এক টিলা এই টিলা থেকে গনেশ্বরী নদী ও দূরে গ্রামগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখায়, যা দেখে যে কারো মন ভরে যাবে।এই টিলায় রয়েছে বিশাল বড় বড় পাথর।এবং ভারতের পাহাড় গুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
শ্যামা মন্দির :
দূর থেকেই বুজা যায় গুম্বজ আকৃতির এই মন্দির যা হাজং সুচিত্রা দেবী শ্যামা মন্দির নামে পরিচিত যদিও এই মন্দিরের কাজ শতভাগ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
সাত শহিদ মাজার :
লেংগুড়া ফুলবাড়ীতে অবস্থিত এই সাত শহিদের মাজার। ১৯৭১ সালের ২৬ শে জুলাই নাজিরপুর নামক স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখীন যুদ্ধে নিহত হয় এই সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরে তাদেরকে ভারত থেকে নেমে আসা গনেশ্বরী নদীর পাশে ভারতের সীমানার কাছেই সমাহিত করা হয়। এই সাত শহিদদের স্মরণে প্রতিবছর ২৬ শে জুলাই নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস হিসাবে পালিত হয়। প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে এই সাত শহিদের সমাধি এবং কাছে থেকে ভারতের পাহাড় এবং গনেশ্বরীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
অম্বলকা যা কাঁঠালবাড়ি নামে পরিচিত :
পাহাড়ের ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে ভয়ে চলা গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে বেশ কিছু টা পথ চলার পরে দেখা মিলবে এই গ্রামটির এখানেও রয়েছে ছোট ছোট টিলা এবং ছোট একটি নদী যা অতিরিক্ত সৌন্দর্য যোগ করেছে এই গ্রামের।
চেংগ্নী পাহাড় :
অনেক উঁচু এক পাহাড় যার অর্ধেক বাংলাদেশ এবং অর্ধেক ভারতে অবস্থিত অসম্ভব সুন্দর এক দৃশ্য এই পাহাড়ের।
সাবধানতা -কোন ভাবেই এই পাহাড়ে গেলে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করা যাবেনা।
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা :
লেংগুড়া ফুলবাড়ীতে জেলা পরিষদ ঢাক বাংলা আছে যেখানে বুকিং দিয়ে থাকা যায়।
খাওয়া দাওয়া :
ফুলবাড়ী বাজার এবং বাজারের পাশেই খাওয়ার জন্য হোটেল আছে।
যাতায়াত : জেলা শহর হতে ৩০ কিলোমিটার দূরে কলমাকান্দা সিএনজি বাস দিয়ে খুব সহজে আসা যায়। কলমাকান্দা থেকে পর্যটন এলাকাগুলোতে যেতে ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক অটো রয়েছে।
বিআরইউ