Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ট্যানারির বর্জ্য পুড়িয়ে কয়েলের কাঁচামাল তৈরি, কারখানায় অভিযান

নাসিরনগর (প্রতিনিধি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

নাসিরনগর (প্রতিনিধি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০২:১৮ পিএম


ট্যানারির বর্জ্য পুড়িয়ে কয়েলের কাঁচামাল তৈরি, কারখানায় অভিযান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ট্যানারির বর্জ্য পুড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে কয়েল উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল তৈরি করা হচ্ছিল। একটি ফেইসবুক পোস্টের ভিত্তিতে  বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী রবিউস সারোয়ারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয় সেই কারখানায়।

বুধবার (১১ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জিহাদনগর গ্রামে এ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিনের পর দিন কারখানাটিতে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিনে ও রাতের আঁধারে পুড়িয়ে কয়েলের কাঁচামাল তৈরি করে আসছিল একটি প্রভাবশালী চক্র। উচ্চমাত্রার ক্রোমিয়ামযুক্ত ঝুট চামড়া যা ট্যানারি কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিষিদ্ধ, তা থেকে পুড়িয়ে কয়লাসদৃশ্য কয়েল তৈরির উপাদান তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ বর্জ্য পুড়ানোর ফলে এলাকায় বিষাক্ত ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে মানুষজন শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছে। সেই সাথে গাছপালা ও জীব বৈচিত্র্যের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে।

এবিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী রবিউস সরোয়ার আমার সংবাদ কে বলেন, একটি ফেইসবুকে পোস্টের ভিত্তিতে বিষয়টি আমার নজরে আসলে কুন্ডা ইউনিয়নের জিহাদনগরে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা কয়েল তৈরির কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

উক্ত কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েল উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে ট্যানারির পরিত্যক্ত চামড়ার অবশিষ্টাংশ, যার সাথে ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত বিপজ্জনক তরল রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ও পুড়িয়ে কয়লাসদৃশ্য কয়েল তৈরির উপাদান তৈরি হচ্ছে। চামড়া পোড়ার তীব্র দুর্গন্ধে এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ দূষিত করছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ঘটনাস্থল থেকে জড়িত সকলেই পালিয়ে যাওয়ায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে চামড়া কাটার একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন, একটি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন এবং দুই গ্যালন তীব্র গন্ধযুক্ত বিপজ্জনক তরল রাসায়নিক পদার্থ জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া পোড়া চামড়া থেকে উৎপন্ন প্রায় ৪০০ কেজি পরিমাণ কয়লাসদৃশ কয়েলের উপাদান ঘটনাস্থল সংলগ্ন তরল বর্জ্যপূর্ণ গর্তে ডাম্পিং করে বিনষ্ট করা হয়।পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিআরইউ

Link copied!