ভোলা প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ দ্বীপ জেলা ভোলায় মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সমানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহিদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো.আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার শরীফুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর, জেলা বিএনপি, জেলা বিজেপি, ভোলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের থেকে একটি বিজয় র্যালি বের হয়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার পর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দিন ব্যাপী জেলা উপজেলায় আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান।
ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্যারেড ও কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী শেষে আলোচনা সভা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: আজাদ জাহান, জেলা পুলিশ সুপার শরীফুল হক, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.মুনিরুল ইসলাম,ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ নবী আলমগীর, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ রাইসুল আলম, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম রতন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা শাখর আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, সেক্রেটারি কাজী হারুনুর রশিদ ও ভোলা প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা, ভোলার শিক্ষক সমাজ প্রতিনিধি ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্নপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা/যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রধানসহ জেলার সকল হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, শিশু সনদ বিতরণ ও শিশু পরিবারে মধ্যাহ্নে খাবার পরিবেশনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে বিজয় দিবস পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও কয়েক লাখ নারীর সম্মান কেড়ে নেওয়া, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বিআরইউ