পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি এতিমখানার টাকা নিয়ে নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের আজলাবাদ হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংটি ২০১০ সালে স্থাপিত হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে মোট ১২ জন এতিমের জন্যে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড বরাদ্দ পায় এতিমখানাটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিন ১২ জন এতিমের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে এক জনও এতিমের দেখা মেলিনি সেই এতিম খানায়।
সেই সাথে আরও অভিযোগ রয়েছে, এতিম খানায় সভাপতি শামসুল আলম দীর্ঘদিন ধরে এতিম বাচ্চাদের সাথে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার কারণে সেই এতিম খানায় ছাত্রের সংখ্যা শূন্য হয়ে পড়েছে। তাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি শামসুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির পদটি বাগিয়ে নিয়ে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ খেয়াল খুশিমতো পরিচালনা করে আসছেন।
কাগজে কলমে এতিম খানাটি পরিচালিত হলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এতিম খানাটিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, এক জনও এতিম নেই সেই এতিম খানায়।
এতিম ছাত্র না থাকার বিষয়ে সভাপতি শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের এতিমখানায় ছাত্রদের ডিসেম্বর মাসের কারণে ছুটি দিয়েছি।
কিন্তু সমাজসেবা অফিস বলছে, এতিমখানা গুলোতে এরকম কোন ধরনের ছুটির বিধান নেই। কারণ তারা এতিম আর এতিমরা এতিম খানাতেই আবাসিকভাবে বসবাস করবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সেই এতিমখানার সভাপতি কিছুদিন আগে একটি ছাত্রকে বলাৎকার করেছেন। আবার গোপনে টাকা পয়সা দিয়ে ধামাচাপা দিয়েছেন। এ কারণে সেখানে কোন ছাত্র আবাসিকভাবে থাকতে চায় না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১২ জন এতিমের বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়মিতভাবে আত্মসাৎ করেন তিনি।
বলাৎকার হওয়া ছাত্রের মা পারুল বেগম জানান, আমাদের কাছে তিনি মাফ চেয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। ডাক্তারের কাছে নেয়াসহ আমাদের যা যা করণীয় আমরা করেছি। এখন কীসের তদন্ত।
এ ব্যাপারে আজলাবাদ হাফিজিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সভাপতি শামশুল আলম বলেন, ডিসেম্বর মাস উপলক্ষ্যে মাদরাসা ছুটি দিয়েছি।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এতিম খানা বন্ধের কোন বিধান নেই। ছুটির বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ