সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
ফরিদপুরের সালথায় মো. ইমরান শেখ (৩০) নামের এক কৃষক দল নেতাকে প্রকাশ্যে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইমরান শেখ সালথা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলাটির গট্টি ইউনিয়নের ঝুঁনাখালী গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে। এছাড়াও রাতের আঁধারে কৃষক দলের নেতাদের টাঙানো পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইমরান শেখ নামের কৃষক দলের ওই নেতা।
এর আগে একই দিন সকাল ১০টার দিকে সালথার গট্টি ইউনিয়নের মাদরাসা গট্টি এলাকার একটি চায়ের দোকানে তাকে (ইমরান শেখকে) মারপিট ও লাঞ্ছিত করা হয়।
সালথা থানায় করা অভিযোগে ইমরান শেখ উল্লেখ করেন, সালথা উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর (৪০) ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এবং বাগবাড়ী গট্টি গ্রামের মহিউদ্দিন মাতুব্বরসহ (৩৪) অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জন তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করে। এছাড়া তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান শেখ বলেন, শ্রমিক লীগ নেতা মুনসুর মাতুব্বর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দিন মাতুব্বর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তাদের পদের ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন সময় মারপিট করাসহ হুমকি-ধামকি দিতেন। এমনকি তাকে বাড়িতে বসবাস করতে দেননি তারা। সে তাদের ভয়ে পলাতক ছিলেন। এখন আ.লীগ পতনের পরও ভোল পাল্টিয়ে নিজেদের বিএনপি নেতা দাবি করে তার উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ এ কৃষক দল নেতার।
ইমরান শেখ বলেন, স্থানীয় আ.লীগ নেতা নুরু মাতুব্বর ওরফে নুরু মেম্বারসহ তার লোকজন আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এদেশের কি-ডা? কৃষক দল আবার কি! আ.লীগের সময়ও তোরা মাইর খেয়েছিস, বিএনপির সময়ও মাইর খাবি! এছাড়া ভয়ে সে বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেন না বলে দাবি ইমরানের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নুরু মাতুব্বর বলেন, এসব কথা ভিত্তিহীন। আমি এবং আমার লোকজন এমন কিছু বলেনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে মারপিট ও লাঞ্ছিতের অভিযোগের ব্যাপারে সালথা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী কেউ বলতেও পারবে না। তবে আমার বড় ভাই নুরু মাতুব্বর তাকে দিকনির্দেশনামূলক কিছু কথা বলেছেন।
অপরদিকে একই অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, তার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত ঝামেলা, মনোমালিন্য নেই। এরকম কোন ঘটনাও তার সাথে ঘটেনি। সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর রাতের আঁধারে কে বা কারা কৃষক দলের পোস্টার ছিঁড়েছে তা ওই এলাকার কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইএইচ