গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় চারজন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তাবলীগ জামাত, উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং উপজেলায় সা`দপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে হামলায় জড়িত সা`দপন্থী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে হামলায় অংশগ্রহণকারী সা`দপন্থী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজবাড়ী জেলার মারকাজ মসজিদ উলামা মাশায়েখদের নেতৃত্বে পরিচালিত হতে হবে। জেলার সকল মসজিদে সা`দপন্থীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীরা তাবলীগ জামাতের নিরীহ সাথীদের ওপর হামলা চালায়, যা একজনের মৃত্যুর কারণ হয়। সাম্প্রতিক হামলাটি তারই ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে তাবলীগের সাথী ও মাদরাসার ছাত্রদের ওপর নির্মম হামলা চালায় সা`দপন্থীরা। এতে চারজন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক গুরুতর আহত হন।
স্মারকলিপি উপজেলা প্রশাসনসহ রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে প্রদান করা হয়েছে। এর অনুলিপি পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী সদর থানা, গোয়ালন্দ ঘাট থানা এবং বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, দাবি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী হতে হবে। রাজবাড়ী জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরে বিভাজন এবং সংঘাতের এই ঘটনা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটি সভাপতি এবং আমীর হাফেজ মাওলানা ইলিয়াছ মোল্লা, জেলা মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ইমাম, তাবলীগের সাথী ভাই ও সাধারণ মুসল্লিরা।
আরএস