Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ভালুকায় ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম


ভালুকায় ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

পৌষ মাস আসতে না আসতেই ময়মনসিংহ অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা সকল বয়সী মানুষের।

শীত বিত্তবানদের উপভোগ্য হলেও স্বল্প আয়ের মানুষেরা আছেন বিপাকে। একটু উষ্ণতার খোঁজ পেতে অল্প দামে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন তারা।

ময়মনসিংহের ভালুকায় অধিকাংশ কাপড়ের দোকানগুলো পৌর সদরের পাঁচ রাস্তার মোড়, বাসস্ট্যান্ড, উপজেলার সিডস্টোর বাজার, স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় গড়ে উঠেছে। এসব এলাকার রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসেছে শীতের কাপড়ের দোকান। শীত থেকে বাঁচতে এ সকল দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে স্বল্প আয়ের মানুষের। দোকানগুলোতে বিক্রিও হচ্ছে অনেক।

বিক্রেতারা বলছেন, শীত যত বাড়বে ক্রেতাদের উপস্থিতিও তত বাড়বে। রাস্তার পাশের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে রয়েছে ব্লেজার, কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ফুল হাতা গেঞ্জি, প্যান্ট, জিন্সের মোটা শার্ট, হুডি, মাফলার, কানটুপি, হাত ও পায়ের মোজাসহ নানা রকম শীতের পোশাক। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

ভালুকা বাসস্ট্যান্ড ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানায়, বড় দোকানে শীতের জামা-কাপড়ের অনেক দাম। এতো বেশি টাকা দিয়ে বড় দোকান থেকে কিনার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই শীত থেকে রক্ষা পেতে ফুটপাতে এসেছেন শীতের জামা-কাপড়ের কিনতে।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের দোকানে সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষ আসেন। যাদের নামি-দামি দোকান থেকে বেশি টাকা দিয়ে জামা-কাপড় কিনার সামর্থ্য নেই।

এদিকে এই তীব্র শীতে কষ্টে আছেন ফুটপাত, বস্তিসহ ভাসমান মানুষ। এদের কোনো ধরনের শীতের পোশাক কিনার সামর্থ্য নেই। তারা প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন সরকারি ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায়।

উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছর সরকারিভাবে তাদের কম্বল দেয়া হয়। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো গরম কাপড় তারা পায়নি। শীতে খুব কষ্টে আছেন বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ্ বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে গত বছরের বরাদ্দকৃত কিছু কম্বল স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর বরাদ্দকৃত কম্বল এখনো আসেনি। আসলে উপজেলার অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

ইএইচ

Link copied!