সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন, বাংলাদেশে মসজিদ নিরাপদে থাকলে মন্দিরও নিরাপদে থাকবে। নারীরা পাবে মর্যাদা।
আমরা সকল ক্ষেত্র বৈষম্য দূর করবো সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। বাংলাদেশের সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে এ সব মন্তব্য করেন। এসময় তিনি আরও বলেন, অফিস,আদালত থেকে ঘুষ,দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
জামায়াত আমীর বলেন, গত ১৫ বছরে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়েছে। আয়না ঘরে বন্দী রেখে জঙ্গিবাদের নাটক করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের নামে বিনা ভোটে এমপিদের পাশ করানো হয়েছে, নিশি রাতে ভোট হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দেশ প্রেমিক বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে সীমান্ত চৌকিদার বিজিবি করেছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে। তিনি এসময় স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অত্যাচার, বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত টিম গঠন করা হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কেউ নারীদের ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না, তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আন্তর্বতীকালীন সরকারের নিকট গাইবান্ধায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান ।
এ সময় গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীর মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক,মাহবুবুর রহমান বেলাল,জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার, সিনিয়র নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার,জেলা সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে,জেলা সম্মেলনকে সফল করতে জেলার সকল ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের উপস্থিত কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল হাইস্কুল মাঠ।
বিআরইউ