হাসিনা মাথা নত করে মাফ না চাইলে জনগণ ক্ষমা করবে না

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা মাথা নত করে মাফ না চাইলে এদেশের জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ইটনা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, হামিদ সাব আজকে কই, হামিদ সাবের ফুত কই। কেউ নাই আজকে।

তিনি আরও বলেন, আমি সমস্ত পৃথিবী ঘুইরা রাজনীতি শিখছি, আর রাজনীতি শিখছি বইলাই হামিদ সাবের বাড়িঘর সব ঠিক আছে, নাইলে সব পুড়ে ছাড়খার হইয়া যাইতো।

বলেন, আবু সাইদ হলো একবিংশ শতাব্দীর বীরশ্রেষ্ঠ। এটা আমিই প্রথম বলেছিলাম।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ যদি ৫ বছর হয় তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৩ মাস, ৬ মাস হইতে পারে। আপনারা ১০ বছর থাকতে চান কেন। ইলেকশনের কথা কইলেই মুখ কালা করেন কেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ বিজয় উৎসব।

এদিকে বিজয় উৎসবকে ঘিরে হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমূহের জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। হাওর এলাকার অন্তত ৫০ হাজার মানুষের পদচারণায় বিজয় উৎসব প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উৎসব উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, মো. আমিরুজ্জামান, মো. রুহুল হোসাইন, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া।

সন্ধ্যার পর বিজয় উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে কণ্ঠশিল্পী সালমা, আশিক ও শাহনাজ বাবুসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

এ বিজয় উৎসবের ব্যাপারে ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা করে অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত করতে চেষ্টা করেছে। হাওরের ৩ উপজেলা ছাড়াও আশেপাশের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এক অভূতপূর্ব মিলনমেলা ঘটেছে আজ।

ইএইচ