Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাজিতপুরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘কাপড়-লাকড়ি শুকান’ স্থানীয়রা

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০১:৩০ পিএম


বাজিতপুরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ‘কাপড়-লাকড়ি শুকান’ স্থানীয়রা

কিশোরগঞ্জে বাজিতপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শহীদ মিনারে কাপড় ও লাকড়ি শুকাতে দেখা গেছে। উপজেলার বলিয়ার্দী ইউনিয়নের ২৭ নং সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির ভিতরে অবস্থিত শহিদ মিনারে এ দৃশ্যটি দেখা গেছে। 

দেখা যায়, বিদ্যালয়টির সুসজ্জিত গেইট ও বাউন্ডারী ওয়াল আছে। তালাবদ্ধ না থাকায় বিদ্যালয়টির ভিতর দিয়েই অবাধ চলাফেরা করে লোকজন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরীও রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।

সরেজমিনে এ প্রতিবেদক গিয়ে দেখেন, শহিদ মিনারের উপর দাঁড়িয়ে একজন নারী কাপড় চোপড় নাড়ছেন। মিনারের পিলারের সাথে রশি টানিয়ে কাপড় চোপড় দিয়ে মিনারটি সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলেছে। 

কাপড় চোপড় নাড়ার বিষয়ে মধ্যবয়স্কা এক নারীকে জিজ্ঞেস করলে নিজেকে  হাসপাতালের নার্স বলে পরিচয় দেন। তার ভাষ্য এলাকার সবাই এখানে কাপড় চোপড় শুকাতে দেন তাই তিনিও দিচ্ছেন।

শহীদ মিনারটির তদারকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গেইট সব সময় খোলা থাকে। তাই তারা কাপড় শুকাতে দেন এখানে। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত তাদের কেউ কিছু বলেনি।

এছাড়া শহিদ মিনারের বেদীর উপরেই শুকানো হচ্ছে কাঠের লাকড়ি। পাশেই গোবরের তৈরি লাকড়িও (চডা ও মুইট্টা) শুকাতে দেখেন এ প্রতিবেদক।

বিদ্যালয়টির বারান্দা ঘেঁষে, মাঠ ও সম্পূর্ণ এরিয়া জুড়েই কাপড় চোপড় ও লাকড়ি শুকাতে দেখা যায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারীকে।

প্রধান শিক্ষকের বাড়ি বিদ্যালয়টি সংলগ্ন স্থানে।স্বামী-স্ত্রী মিলেই দীর্ঘ বছর ধরে আছেন এ বিদ্যালয়ে। তবে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলমকে অবহিত করে হোয়াটসঅ্যাপে সমস্ত ছবি ও তথ্যপ্রমাণ পাঠালে দায়িত্বে অবহেলাকারী ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।  

সচেতন মহলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই শহীদ মিনারে এমনটি করছেন স্থানীয় কিছু মানুষজন। বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলা ও গেইট তালাবদ্ধ না রাখায় এমনটি হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরির বাড়ি বিদ্যালয়ের কাছেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার জন্যই এখানে শহিদ মিনার অবমাননা করা হচ্ছে। দোষীদের আইনানুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান সচেতন মহল।

বিআরইউ

 

Link copied!