ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দিনের আলোতে শৃগালের কামড়ে এক মহিলাসহ তিনজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ শে ডিসেম্বর) সকালের দিকে পৌর সদরের কুমড়াডাঙ্গা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিনজন হলেন, রেনু খাতুন (৬০),শাজাহান আলী (৫০) ও জব্বার আলী (৪০)। তারা তিনজনই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ওই মাঠের মধ্য দিয়ে রাস্তা ধরে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। আহত দুইজন সারুটিয়া ও একজন কুমড়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (আজ) সকাল সাড়ে আটটার দিকে আহত বৃদ্ধা রেনু খাতুন নিজ বাড়ি সারুটিয়া থেকে কুমড়াডাঙ্গা মাঠের মধ্য দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে শৃগাল এসে পায়ে কামড়ে ধরে। এ সময় তার চিৎকার চেঁচামেচিতে মাঠের মধ্যে কোন লোকজন না থাকায় কেউ এগিয়ে আসে নি।
এদিকে শৃগালের কামড়ে ধরে রাখলে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি নিজেই তার পায়ের জুতো দিয়ে প্রায় দশ মিনিট ধরে আঘাত করার পর শৃগাল তার পায়ে কামড় ছেড়ে দিয়ে চলে যায় । এরই মধ্যে তার পায়ের মাংস বের হয়ে রক্তাত্ব অবস্থার সৃষ্টি হয়। তার কিছুক্ষণ পর একই রাস্তা দিয়ে তার প্রতিবেশী কৃষক শাজাহান আলী ও শ্রমিক জব্বার আলী বাজার যাওয়ার সময় একই কায়দায় ওই শৃগাল দুজনকে কামড়ে আহত করে। এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করে ওই শৃগালকে পিটিয়ে মেরেছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় শৃগাল কামড়ে আহত করার আতঙ্কে করার বিরাজ করছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ওই শৃগালটি গত কয়েক দিন যাবত দিনের আলোতে লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
শৃগালের কামড়ে গুরুতর আহত বৃদ্ধা রেনু খাতুনের ছেলে কাওসার আলী জানান, শৃগাল কামড়ে তার মায়ের পায়ের পেছনের মাংস তুলে ফেলেছে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রতিকার হিসেবে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বলেছেন। এরই মধ্যে একটি ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জলাতঙ্ক রোগের কোন ভ্যাকসিন নেই তাই বাহিরের দোকান থেকেই কিনে দেওয়া দিতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে জলাতঙ্ক রোগের কোন ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। সে কারণে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন বাহির থেকে সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিআরইউ