Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫,

দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম


দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ট্রেনের ধাক্কায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েঠে উপজেলা ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী।

বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার দিয়ারপাড়া রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

পরে নেতাকর্মীরা ওই রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যানের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এতে অংশ নিতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী দুইটি বাসে চড়ে ভাঙ্গুড়া থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে ভাঙ্গুড়া বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে টেবুনিয়া-বাঘাবাড়ী সড়কের দিয়ারপাড়া রেলক্রসিং পার হয় দুটি বাস। এ সময়ে রেললাইনে বাস দুটি উঠলে খুব নিকটে ট্রেন দেখে আঁতকে ওঠে নেতাকর্মীরা। মুহূর্তের ব্যবধানে বাস দুটি রেলক্রসিং পার হওয়ার পরই ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ওই রেলক্রসিং অতিক্রম করে।

পরে বাস থেকে নেতাকর্মীরা নেমে গেটম্যানকে না পেয়ে এবং ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার না নামানোয় গেটম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেন।

জানা যায়, এদিন ওই রেল ক্রসিংয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু ওই সময় তিনি নিজে না থেকে তার ছেলে রবিনকে রেখে যান। ধূমকেতু ট্রেনটি আগমনের সময় রবিন রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার নামায়নি। তবে ট্রেনটি ভাঙ্গুড়ার বড়াল ব্রিজ স্টেশনে বিরতি থাকায় গতি কম ছিল। এ কারণে বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পায় শতাধিক ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব লিখন সরকার বলেন, ট্রেন রেল ক্রসিংয়ের নিকট চলে আসলেও ব্যারিয়ার নামানো হয়নি। আমরা নেমে গেটম্যানকে পাইনি। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি। দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমরা গেটম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে শরিফুল ইসলামের ছেলে রবিন বলেন, বাবার পরিবর্তে আমি দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি টেলিফোনের কাছে বসে ছিলাম। কিন্তু ট্রেন আসবে এ সংক্রান্ত কোন টেলিফোন আসেনি। তাই ব্যারিয়ার নামাইনি। যাইহোক অল্পের জন্য দুর্ঘটনার থেকে সবাই রক্ষা পেয়েছে।

ইএইচ

Link copied!