বরিশাল ব্যুরো
জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া, ছাত্রাবাস বসবাস উপযোগী করা ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ ১৩ দফা দাবিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্র ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ তাজুল ইসলাম কাছে এই স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় কলেজ অধ্যক্ষ তার ক্ষমতা অনুযায়ী দ্রুত সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএম কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সানজিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা শর্মি, সহ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম সদস্য অনুপ রায় অর্নব, মারিয়া মারজান প্রমুখ। এসময় শিক্ষার্থীরা সেশন ফি গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ রশিদ প্রদান, অডিটোরিয়াম ও ক্যান্টিন চালু, চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ, লাইব্রেরিতে পাঠদান পরিবেশ তৈরি, জলাবদ্ধতা রোধে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
বিএম কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ তাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি নিয়ে আগেই কাজ শুরু করেছি। আমার ক্ষমতানুযায়ী দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবো।
কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, কলেজের নানান সমস্যা ও সংকট শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি সেশন ফি গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ রশিদ শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হচ্ছে না। কলেজে অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে রয়েছে। ক্যাম্পাসে নামমাত্র সাইনবোর্ড থাকলেও চিকিৎসক নিয়োগ না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। লাইব্রেরিতে দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্নে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার বই। এগুলোকে পাঠ উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ক্যাম্পাসের বড় একটি সমস্যা। কলেজের ৭টি হল নামমাত্র রয়েছে তবে তার অধিকাংশই বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সুজয় সরকার আরও বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়নে বিগত প্রশাসনের নির্লিপ্ততা শিক্ষার্থীদের আশাহত করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রশাসন কলেজের সংকটগুলো সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে আশা করছি। এসব সংকট সমাধানের মধ্যদিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় করে ছাড়বে।
আরএস