ভোলা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি
জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
ভোলায় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা এলাকায় ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড গোলা ও ৪ টি হাতবোমা ও পাসপোর্টসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ ফরাজী (৫০) নামের ১ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় মো. কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন সিয়াম-উল-হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় দীর্ঘদিন যাবত ভোলা সদর উপজেলাধীন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পূর্ব কাজীচর এলাকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমদ ফরাজী এর নেতৃত্বে একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী দল জমি দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো বলে জানা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ০৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১ টা হতে ভোর ৪ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা কর্তৃক ভোলা সদরে মাস্টার কলোনী সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা গোলা, ৪ টি হাতবোমা এবং ১ টি পাসপোর্টসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমদ ফরাজী কে আটক করা হয়।
আটক সন্ত্রাসী ভোলা সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। জব্দকৃত সকল আলামতসহ আটককৃত সন্ত্রাসীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, তার আটকের সংবাদে বেলা ১২টার দিকে শান্তির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
স্থানীয় জন সূত্র বলছে, আটক তোফায়েল আহমেদ পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং সরকার পতনের পরে তার ইন্ধনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও দখলদারি চলত। সে বেশকিছু সন্ত্রাসীকে শেল্টার দিত। তাঁর মোবাইল ফোন চার্জ করে দেখা গেছে, তিনি বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর অনুসারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিত। অনুসারীরা তাঁর ইন্ধনে অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। প্রমাণস্বরুপ কোস্টগার্ডের কাছে এসব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রয়েছে।
তিনি শান্তির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে থেকেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর কাদের মজনু মোল্লার অনুসারী ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় নিয়মিত স্কুলে না গিয়ে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।
তবে এ বিষয় কোস্টগার্ড বলছে, তাঁর মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, তিনি বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর অনুসারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিত। অনুসারীরা সেই দিকনির্দেশনা মোতাবেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাত প্রমাণস্বরুপ কোস্টগার্ডের কাছে এসব কথোপকথনের অডিও ভিডিও চ্যাটিংও রয়েছে।
আরএস/বিআরইউ