তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
বরগুনার তালতলী ও আমতলী উপজেলার সর্বত্র সপ্তাহজুড়ে ঘন কুয়াশার কারণে ঝড়ে যাচ্ছে পান পাতা।
বহু কষ্টে ধারদেনা এবং এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বরজ করার পর শীত মৌসুমের শুরুতেই চোখের সামনে শ্রমিকদের ঘামে শ্রমে ফলানো পান পাতা এভাবে ঝড়ে যাওয়ায় পান চাষিদের সর্বনাশ হতে যাচ্ছে।
তালতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র পঁচাকোড়ালিয়া ও ছোটবগী ইউনিয়নে মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করেছেন চাষিরা। শীত মৌসুমের শুরুতে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বরের পান পাতা লাল হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে।
পান চাষিরা শৈত্যপ্রবাহ এবং কুয়াশার হাত থেকে রক্ষার জন্য পুরো বরজ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দেয়ার পরও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। লাখ লাখ টাকা খরচ করে এক এক জন পান চাষি ঘর তৈরি করেছেন। নিজেদের চোখের সামনে এভাবে বহু ঘামে ও শ্রমে তৈরি করা তাদের পানের বরজের পাতা চোখের সামনে লাল হয়ে ঝড়ে যেতে দেখায় অনেক চাষিই কান্নায় ভেঙে পরেন।
তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ও ছোটবগী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঝড়ে যাওয়া পান বরের বিবর্ণ চিত্র। বরের সাথে পানের লতা দাঁড়িয়ে থাকলেও ঠান্ডায় পান পাতা শুকিয়ে লাল হয়ে ঝড়ে মাটিতে পড়ে আছে।
বরজের পান নষ্ট হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারেও।
তালতলী শহরের পান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক চল্লি (৩৬টি পান) বড় সাইজের বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ছোট সাইজের এক চল্লি পান ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ক্রেতাও এখন হিসাব করে পান কিনছেন।
তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, ঘন কুয়াশা, অতিরিক্ত শীত এবং আবহাওয়া মেঘলা থাকার কারণে পান গাছে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দেয়। এরকম হলে স্বল্প মাত্রায় জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়াও শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে বর রক্ষার জন্য পলিথিন টানিয়ে বেড়া দেয়া হলে ছত্রাকের আক্রমণ কম হবে।
ইএইচ