এম এম নুর আলম, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)
জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
এম এম নুর আলম, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)
জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
দেশে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির কৃষিখাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
ক্ষেতের অবস্থা দেখে ও শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে।
কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে যাচ্ছে। কখনো কখনো হিমেল বাতাসের সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মত কুয়াশা। দেখা মিলছে না রোদের। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠার সাথে সাথে ঠান্ডা ও কুয়াশা কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
শীতকালীন সবজি আলু, পেঁয়াজ, টমেটো ক্ষেত নিয়ে কৃষকদের মাঝে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। শীতকালীন সবজি ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন।
আবার অনেক স্থানে আগাম জাতের আমের মুকুলও ঝরে যাচ্ছে। কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়েও চিন্তাগ্রস্থ কৃষকরা। তীব্র শীতে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। চারার গোঁড়া বা পাতা পচা রোগ এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করে বীজতলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাছাড়া সূর্যের আলো ঠিকমতো পাচ্ছেনা বীজতলা। আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। বৃষ্টি হলে ছত্রাকবাহী ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এতে করে আলু ও টমেটোর অনেক ক্ষতি হবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীত ও ঘন-কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের বাড়তি পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। আলু ক্ষেতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, জেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মতো কৃষকদেরকে ঠান্ডার ক্ষতি হতে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং রোগ দেখা দিলে ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
ইএইচ