সারোয়ার হোসেন, তানোর (রাজশাহী)
জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
সারোয়ার হোসেন, তানোর (রাজশাহী)
জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
শশ্যভান্ডার হিসেবে সুপরিচিত বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর তানোরে হাড়কাঁপানো কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষের জন্যে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা।
নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে পাখি ডাকা ভোর থেকে বিকাল গড়িয়ে কনকনে শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন শ্রমিকরা।
পাশাপাশি বোরো চাষের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে বোরো ধানের জমি। ভোর থেকে শুরু করে দুপুর গড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত গরুর লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে বোরো জমি চাষের জন্য হাল চাষ করে জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, বিশেষ করে তানোর উপজেলাজুড়ে আমন ধান কাটার পরপরই আলু রোপনের জন্য পড়ে হিড়িক। এবার অন্য বছরের তুলনায় তানোর উপজেলাজুড়ে তিনগুণ বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উত্তোলনের পরে সেইসব জমিতেও চাষ করা হবে বোরো ধান। তবে যারা আলু চাষ করেননি তারা আগাম সেইসব জমিতে বোরো চাষের জন্য এখন থেকে নেমে পড়েছেন বোরো রোপনের জন্য। ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে শ্রমিকরা চারা রোপণ করছেন বোরো জমিতে।
তবে, আলুর কাজে শ্রমিকরা ব্যস্ত থাকায় বোরো চাষে একটু শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেই জন্য বোরো চাষে একটু খরচ বেশি পড়ছে বলে বোরো চাষিরা জানান।
তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি এবার ২৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। ইতিমধ্যে সবার আগে বিলকুমারী বিলে পানি নিষ্কাশনের সাথে সাথে তিনি ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন। তিনি আমন ধানের ফলন ভালো পেয়েছেন। তাই এবার বোরো চাষের জন্য একটু আগে থেকেই জমি চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু করাসহ বোরো রোপণ করছেন।
তবে তিনি বলেন, এবার প্রচন্ড ঠান্ডা তাই কৃষি শ্রমিকরা তাদের মজুরি একটু বেশি নিচ্ছেন। তবুও কৃষক কিছুই মনে করছেন না। কারণ যে পরিমাণ ঠান্ডা তাতে করে বোরো চাষের জন্য শ্রমিক পাওয়ায় কষ্টকর বলে জানান কৃষক হাবিবুর রহমান।
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবার আমনের ফলন ভালো পেয়েছে কৃষকরা। এতে বোরো চাষের জন্য আগাম ঝুঁকছে কৃষকরা। আশা করা যাচ্ছে আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরও বোরো ধানের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন তিনি।
ইএইচ