Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫,

ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই

শিমুল হাছান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)

শিমুল হাছান, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)

জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৪:২২ পিএম


ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই

চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের  ফরিদগঞ্জে পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় অটোরিকশা থামিয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ পোশাক পরিহিত তিন জন ও একজন সিএনজি চালক ছিল। তাদের মধ্যে একজন কাছে পুলিশের শর্টগান ছিল। 

এসময় অটোরিক্সা চালককে গালমন্দ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তল্লাশির নামে গাড়ির বক্সে থাকা ডিম বিক্রির ৬৯ হাজার ৪ শত টাকা নিয়ে যায় তারা। এরপর ওই পুলিশরা তাকে ফরিদগঞ্জ থানায় যেতে বলে। অটো চালক যখন অটো নিয়ে থানায় রওনা দেয় তখন ছিনতাইকারীরা সিএনজি ঘুরিয়ে বিপরীত দীকে চলে যায়। অটো চালক ও পিছন পিছন নারিকেলতালা পর্যন্ত যায়। তাদের দেখা না পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় এসে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ আলমের কাছে বিস্তারিত জানায়। ঘটনাটি গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০ টা নাগাদ ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চতুরা এলাকার আজিম বাড়ি ব্রিজের উপর ঘটে।

ছিনতাইয়ের শিকার সবুজ ব্যাপারী জানায়, চাঁদপুরে পুরান বাজারে ডিমের আড়ত ব্যবসায়ী খোরশেদ দোকানের ডিম আনা নেওয়ার কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যায় ৭ হাজার ২ শত ডিম নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর বাজারে খুচরা ডিম ব্যবসায়ী জুবায়ের হুজুরের দোকানে দিয়ে আসি। জুবায়ের হুজুর ডিমের দাম দাম বাবদ আমার কাছে ৬৯ হাজার ৪ শত টাকা দেয়। আমি টাকা নিয়ে ফরিদগঞ্জের চতুরা এলাকার আজিম বাড়ির ব্রিজের কাছে আসলে পুলিশ পরিহিত তিন জন একটি সিএনজি নিয়ে আমার পথরোধ করে। আমার অটোরিক্সা তল্লাশি চালায়। তাদের সাথে থাকা সিএনজি চালক এসে আমার গাড়িতে বসে। তারা এই বক্সে কি আছে জানতে চাইলে আমি বলি ডিম বিক্রির টাকা ছাড়া কিছুই নেই। তারা আমাকে গালমন্দ করে বক্স খুলে টাকা নিয়ে যায় এবং আমাকে থানায় যেতে বলে। আমি থানার দিকে রওনা হলে তারা তাদের সিএনজি ঘুরিয়ে রায়পুরের দীকে চলে যায়। সবুজ আরো বলেন, পুলিশ পোশাক পরিহিত একজনের কাছে পুলিশের একটি শর্টগান ছিল।

এদিকে, রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় গিয়ে কথিত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা করেন অটোরিক্সা চালক সবুজ। কিন্তু তার সামনে কথা বলা এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়া পুলিশ খুঁজে পাননি তিনি।

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, আমার থানার কোনো সদস্য ঘটনাস্থলে দায়িত্বে কিংবা ওইসময় টহলদলে ছিল না। তারপরও কারা পুলিশ পরিচয়ে এমন কাণ্ড করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  রাতেই পুলিশের বেশ কয়েকটি দল চতুরা ব্রিজ ও তার আশপাশে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু কোনো হদিস পায়নি পুলিশ পরিচয় দেয়া প্রতারক চক্রের। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছিনতাইকারীদের আটকের জন্য আমাদের পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরএস

Link copied!