তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
রাজশাহীর তানোরে গম চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবছর তানোরে ব্যাপক পরিমাণ জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। গমের সবুজ পাতার সমারোহ বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
গম চাষিরা আসা করছেন, এবার প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ মন করে গমের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে বাজারে দামও তুলনামূলক অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার যারা গম চাষ করেছেন তারা ভালো স্বাবলম্বী হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন গম চাষিরা। জানা গেছে, অনেক কৃষক আমন ধান তোলার পরে আলু বা সরিষা রোপণ না করে গম চাষ করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, গম চাষের সমারোহ। মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে গমের সবুজ পাতা। অল্প কিছুদিনের মধ্যে গমের শীশ বের হতে শুরু করবে। অল্প খরচে ভালো লাভবান হওয়া যায় গম চাষে।
শশ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত হলেও বরেন্দ্র অঞ্চল তানোরে কালের বিবর্তনে দিন দিন বিলুপ্তির পথে বসেছিল গম চাষ করা। এক সময় তানোর উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে ব্যাপক পরিমাণে গম চাষ করা হত। কিন্তু বর্তমানে কৃষক আলু চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। ফলে, গম চাষের আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে তানোর উপজেলার কৃষকদের মধ্যে।
উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের হাপানিয়া মাঠে কয়েকজন গম চাষিদের সাথে কথা বলা হলে তারা বলেন, গম চাষ করে গতবছর তারা ভালো ফলন পেয়েছেন। এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২মন করে গম পাওয়া গেছে।
তারা আশা করছেন, এবছরও গমের ভালো ফলন হবে। কলমা ইউনিয়নের চৌরখৈল গ্রামের গম চাষি সোহাগ আলী, রিপন ও মিজানুর রহমান জানান, তারা এবছর আলু চাষ না করে সেই জমিতে গম চাষ করেছেন। গমের গাছও খুব ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে সার বিষের দাম বেশি না হলে গম চাষে আরো খরচ কম হবে।
এবার গম চাষে তেমন রোগবালাই নাই। কিন্তু বেড়েছে ইঁদুরের হানা। কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছেনা ইঁদুরকে। গমের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে ইঁদুর। তারা বলেন, কৃষি দপ্তর থেকেও তারা তেমন কোন ফলপ্রসূ পরামর্শ পাচ্ছেন না। যার জন্য গমের শীশ বের না হতেই ইঁদুরের উপদ্রুব্রে অতিষ্ঠ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গম চাষিরা।
উপজেলা জুড়ে কত হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। এবং গম চাষিদের মাঝে উপসহকারী বিএস কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান কি-না জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিআরইউ