Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫,

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নাই

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম


গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নাই

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। বিএনপি এদেশে গণতন্ত্রকে লালন করেছে। যতবারই এদেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে ততবারই বিএনপি এই গণতন্ত্রকে পুনঃউদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বালুচড়া এলাকায় আব্দুর রহমান মুন্সী ৬৩তম ওরস শরিফে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বলেন, বাংলাদেশের যে বর্তমান পরিস্থিতি বিগতদিনে একটি স্বৈরাচারী সরকার ছিল সেটি অবৈধ সরকার। সেই অবৈধ সরকার ভোট ডাকাতি করেছে এবং জোর করে নির্যাতন করে নিপীড়ন নিষ্পেষিত করে ক্ষমতায় ছিল ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা সরকার। সেই সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন করেছে। এছাড়াও অসংখ্য ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে।

তাদের পরিণতি শেষ পর্যন্ত এ দেশ থেকে পালিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে। বাংলাদেশে যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের একটিই চাওয়া ছিল। সেটা হলো ফ্যাসিবাদমুক্ত হবে বাংলাদেশ।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ভোটের অধিকার যারা হরণ করেছিল তারা আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা থাকতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটি চলমান যে তাদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। যাতে সেই সরকার জনগণের সরকার হবে। সেই সরকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে এটি জনগণের চাওয়া।

তিনি আরও বলেন, ভোট নিয়ে আজকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দা মানুষ আবার ষড়যন্ত্র করছে। পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারে যারা প্রেতাত্মা ছিল তারা কিন্তু আজকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যাদেরকে মানুষ ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আবার বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশে গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সে ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে করে স্বৈরাচারী কোন প্রেতাত্মারা আর মাথা চারা দিয়ে না উঠতে পারে এই বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি দল যে দলটি বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের দল। বিএনপিও কিন্তু জনগণের কাছে  যখন যে ওয়াদা করেছে তা পূরণ করেছে। ১৯৯১ সালে যখন নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ  মওকুফ করবে এবং ২৫ বিঘা চরের জমির খাজনা মাফ করবে। সেটি কিন্তু নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করেছিল।

এছাড়াও নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল বেগম খালেদা জিয়া। আজকে গার্মেন্টস শিল্প যেটার উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি চলে। সেই গার্মেন্টস শিল্পর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল আলম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু প্রমুখ।

ইএইচ

Link copied!