ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও এ ঘটনায় ৫-৬ টি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়। আহতরা প্রাথমিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেয়।
আহতদের মধ্য দুজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুবদল নেতা ও সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম (৪২), তার ছেলে রাতুল ( ২৭)।
অপরদিকে সাবেক কাউন্সিলর বিএনপির নেতা আনার মিয়ার পক্ষের জসিম মিয়া (৩৫) । আহতদের মধ্য দুজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত যুবদল নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা বিএনপির নেতা আলম সাহেবের কাছে আমরা আসলে ওয়ার্ড যুবদল নেতা আক্তার মিয়া, আসাদ মিয়া ও তার লোকজন আমাদেরকে হাইব্রিড নেতা বলে ডাকতে থাকে এবং আলম সাহেব যাওয়ার পরে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এসময় দা দিয়ে নাক মুখে কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন। আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই।
অপরদিকে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি নেতা হাজী মো. আক্তার মিয়া ও পৌর বিএনপির নেতা আসাদ মিয়া বলেন, জগন্নাথপুরের বিএনপির কোন এক নেতা অপর পক্ষ দানিজ মিয়া, শফিকুল ইসলামদের হাইব্রিড নেতা বলে ডাকতে থাকেন। সেই হিসেবে তারা আমাদের দোষী করে আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন। এই ঘটনাটি বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসে শেষ করে দিলেও পরবর্তীতে পুনরায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়, হামলায় বাড়ির ১২-১৪ জন আহত হয়েছে এবং আমাদের ক্লিনিক ও ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজিনা পারভীন জানান, মারামারি ঘটনায় ৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্য ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষ লিখত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার কথা জানান ওসি।
ইএইচ