Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫,

বাণিজ্যমেলায় বিদেশি পণ্যের স্টলের মধ্যে ভারতীয় বেশি

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম


বাণিজ্যমেলায় বিদেশি পণ্যের স্টলের মধ্যে ভারতীয় বেশি

রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলায় দেশীয় পণ্যের স্টলের পাশাপাশি বিদেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আর বিদেশি স্টলগুলোর মধ্যে ভারতীয় স্টলই বেশি দেখা গেছে।

মেলা ঘুরে মূল ভবনের ভিতরে এবং ও বাইরে মিলিয়ে প্রায় ৫০টি স্টলে ভারতীয় পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। এরমধ্যে মূল প্যাভিলিয়নে কাশ্মীরি শাল, জুতা, কসমেটিক্স, কাপড়, ও হস্তশিল্পসহ প্রায় ৩০টি স্টলে দেখা যায় ভারতীয় পণ্য বিক্রি করতে। এরমধ্যে আবার ‍‍`হল বি‍‍`তেই রয়েছে প্রায় ২০টি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তার কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি মেলায়।

ইসিবি সূত্রে এবার মেলায় বাংলাদেশ ব্যতীত আরও ৭টি দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সেই হিসেবে গত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাইরের দেশ কম অংশ নিয়েছে।

২০২৩ সালে ১২ দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। গত বছর ২০২৪ সালে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন ছিল বলে জানানো হয়েছিল মেলা আয়োজকের পক্ষ থেকে।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো— ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া। তবে ১১টি স্টলের থেকে বেশি স্টলে বিদেশি পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

এ বিষয় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অফিসিয়ালি ৭টি দেশ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। মেলাতে যেটা হয়, আমার ধারণা, একজন স্টল বরাদ্দ নিল সে হয়ত অন্য কাউকে দিল; তিনি হয়ত বিদেশি পণ্য বিক্রি করছেন।

পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মেলা প্রাঙ্গণের স্টলগুলো ‍‍`হলো-এ‍‍`  এবং ‍‍`হল-বি‍‍`— এ দুই ভাগে বিভক্ত। মূল ভবনের বাইরেও কিছু স্টল আছে। ভারতীয় স্টলগুলোয় মিলছে কাশ্মীরি শাল, ওয়ান–পিস, থ্রি–পিস, ফ্যাশনেবল পঞ্চ, মাফলার, কার্পেট।

হল-এ তে কাশ্মীরি চাদর বিক্রি করে এমন ভারতীয় একটি স্টলে কথা হয় বিক্রয় কর্মীর সাথে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি জম্মু-কাশ্মীর থেকে পণ্য নিয়ে এসেছি এবং আমরা প্রতি বছরই মেলায় অংশ নিই।

তিনি জানান, "কাশ্মীরি  চাদরের দাম ১,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকা। আমাদের বিক্রি তেমন হচ্ছে না। শুক্রবার প্রায় ২ লাখ বিক্রি হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমরা ৫০ হাজারও বিক্রি করতে পারছিনা।

ভারতীয় পণ্য বিক্রয় করা আরেক বিক্রয় প্রতিনিধি সাব্বির বলেন, আমাদের যমুনা ফিউচার পার্কে দোকান আছে। আমরা জম্মু-কাশ্মীর থেকে চাদর আনি। দাম  ১ থেকে ১০ হাজার টাকা।

এদিকে রোববার ভারতীয় ব্যাগ ও জুতার দোকানে ভালোই ক্রেতা দেখা গেছে। জুতার মধ্যে রয়েছে— নাগরা, জুত্তি, চপ্পল ও স্যান্ডে। রয়েছে বানজারা ব্যাগ ও মেটাল ব্যাগের দোকান। বম্বা ফুটওয়্যার স্টলে দেখা গেল বাহারি জুতা।তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে।

ভারতীয় পণ্য কেনা এক ক্রেতা বলেন, প্রয়োজন দেখে পণ্য কিনি। কাশ্মীর চাদর বিখ্যাত, তাই চাদর কিনলাম। এখন শীতকাল, তাই শীতের পোশাক কিনেছি।

কথা হয় ইরানি কার্পেট বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের পণ্যের মান ভালো, কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতারা দাম কম বলছেন। আমাদের বিক্রি ভালো না।

"৩ ফুট বাই ৫ ফুট আয়তনের কার্পেটের দাম ২০,০০০ টাকা; আর ৫ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের কার্পেটের দাম ৯৫,০০০ টাকা," বলেন তিনি।

পাকিস্তানি কয়েকটি স্টলে চাদর ও বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করতে দেখা যায়। পাকিস্তান কাশ্মীর চাদর বিক্রি করছে এমন একটি স্টলে কথা হয় মোহম্মদ সাজ্জাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২,০০০-৫,০০০ টাকা দাম চাদরের। এ বছর বিক্রি কম।

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য  মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

বিআরইউ

Link copied!