আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ২১, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কলাপাড়া এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মানিক মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্রয়কৃত জমির সাক্ষী আমিন গণিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন মানিক মিয়ার লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের ভয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সরুফা আক্তার গত শনিবার (১৯ জানুয়ারি) আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ব্যাপারে মো. মানিক মিয়াকে অভিযুক্ত করে দে: কা: আইনের ৩৯ আদেশের ১/২ রুল ও ১৫১ ধারার বিধান রেখে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি পিটিশন ও উক্ত ক্রয়কৃত জমির সাক্ষী আমিন গণিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করায় ৬ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন— গাইটাল নামাপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. মানিক মিয়া (৩৫), মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে মো. রোমান মিয়া (৩৬), মৃত কিন্তু মিয়ার ছেলে মো. জসিম মিয়া (৫০), ও কলাপাড়া শ্রীনগর এলাকার মৃত আ. মালেকের ছেলে মো. শরীফ মিয়া (৩২), কলাপাড়া মহিনন্দ এলাকার মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার (৬০), করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ মালিবাড়ির মো. জসিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. অজুফা আক্তার (৩৮)।
আদালত ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সরুফা শোলাকিয়া মোড়স্থ কলাপাড়া মৌজার ৪৮ ও ৫১ নং দাগে ৩ শতাংশ জমি সুফিয়ার কাছ থেকে দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন।
এদিকে সুফিয়া ও অযুফার যোগসাজশে সরুফার ক্রয়কৃত ৩ শতাংশ জমি দখলবাজ মো. মানিক মিয়া ২৬/৬/২০২৪ ইং তারিখে ৩৮৮৭ নং দলিলমূলে রেজিস্ট্রি করিয়া ফেলেন। যা পরবর্তীতে জাল দলিল নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ অভিযুক্তরা জায়গাটি দখলের চেষ্টা ও ভুক্তভোগী সরুফাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তিনি কিশোরগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি ছানী মোকাদ্দমা (মোকাদ্দমা নং- ১/২০২৫) দায়ের করেন।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিরোধীয় ভূমিতে উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আগামী ০৯/০২/২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধান মোতাবেক নোটিশ জারি করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা গত ১৯ জানুয়ারি বিকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গাটি জোরপূর্বক বেদখলের চেষ্টার সময় মামলার সাক্ষী মো. আমিন মিয়া বাধা প্রদান করলে আমিন মিয়াকে মারধর করে তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা ও তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এ বিষয় অভিযুক্ত মো. মানিক মিয়ার সাথে কথা বলার একাধিকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদু্ল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি সরুফা আক্তারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিআরইউ