কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)
জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)
জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ডোমরাবাদ এলাকায় ধানবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় বেড়েরধন নদীর উপর ভাঙ্গা ’ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ সেতু’ ব্রিজটি ৫ বছর ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার জলিশাসহ দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভেঙ্গে পড়ার পর থেকেই এখন পর্যন্ত ব্রিজটি একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সাধারণ মানুষদের। তবে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পথচারীদেরকে ৪-৫ কিলোমিটার পথ বেশি চলতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৬ সালে ৭ এপ্রিল মাসে সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটির পশ্চিম পাড়ে পার্শ্ববর্তী বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা ও পূর্ব পাড়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা। সেতুটি দিয়ে উপজেলার ডোমরাবাদ, উত্তর আমড়াগাছিয়া, মধ্য আমড়াগাছিয়া এবং ওপারের হোসনাবাদ,জলিশা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের ১৪ বছর পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে একটি ধানবোঝাই ট্রলারে ধাক্কায় ভেঙ্গে পড়ে। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে দুই উপজেলার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়েরধন নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের^ ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ পড়ে রয়েছে। ফলে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় দুই উপজেলার যোগাযোগ,কৃষি আবাদ,বাজার ঘাট ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামগুলোতে বসবাসরত কোন রোগীকেও জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে প্রায় ১০-১২ কিঃমিঃ পথ ঘুরিয়ে নিতে হচ্ছে। অথচ এখানে ব্রিজ থাকলে অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যেতো। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে কৃষকরাও তাদের আবাদকৃত ফসল ঠিকমতো বাজারে বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
ব্রিজ সংলগ্ন ডোকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, গত ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে একটি ধান বোঝাই ট্রলারে ধাক্কায় ব্রিজটি পশ্চিম পাশের দিক দুমড়ে-মুচড়ে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এসময়ে ট্রলারের মাঝিসহ ৩জন আহত হয়। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা ও পাশর্^বর্তী বেতাগী উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই পাড়ের প্রায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারে না। প্রথমদিকে শিক্ষার্থীরা খেয়া পার হয়েও আসলেও নদী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ তাই তারা এখন আসতে পারছে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে। কয়েক বছর হলেও ব্রিজটি সংস্কারের ব্যবস্থা হচ্ছে না,তাই এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, উপজেলার ডোমরাবাদ এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজের স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হলেই অতিশীঘ্রই ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।##
আরএস