গোলাম কিবরিয়া সোহেল, নেত্রকোণা
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
গোলাম কিবরিয়া সোহেল, নেত্রকোণা
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
নেত্রকোণায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর এক কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ শাকিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বুধবার দুপুরে শহরের বড়বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই কর্মকর্তার নাম আরিফ চৌধুরী। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার মেন্দিপুর এলাকায়।
কৃষি কর্মকর্তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিবেশী শাকিল চৌধুরীর জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে আদালতে মামলা রয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন তার সেচ পাম্পের পাইপে সিমেন্ট, বালু ও সুরকির ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে গত রোববার তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে উল্টো প্রতিপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হন।
বুধবার দুপুর একটার দিকে আরিফ চৌধুরী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারার একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হন। এ সময় শাকিল চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে শহরের বড়বাজার এলাকায় একটি ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দরজা বন্ধ করে বেধরক মারধর করতে থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলার শিকার আরিফ চৌধুরী আমার সংবাদকে জানান, ‘প্রতিপক্ষ শাকিল চৌধুরীর নেতৃত্বে শাওন, বাদল, ছোটনসহ ১০-১২ জন আমাকে ডিসি অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে বড়বাজার এলাকায় একটি চেম্বারে বেধরক মারধর করে। আমার সাথে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা আবার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এলে আমাকে আওয়ামী লীগ আখ্যা দিয়ে পুলিশের সামনেও মাথা দেয়ালে ঠুকিয়ে মারধর করে ও হাতে ছুরি দিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছবি তোলে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মো. লুৎফর রহমান জানান, ‘বড়বাজার এলাকায় একটি চেম্বার থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইএইচ