Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫,

কাপ্তাইয়ে দেখা মিললো অনন্য নিদর্শন ‘বাবলা’ ফুলের

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

রাজস্থলী (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:

জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম


কাপ্তাইয়ে দেখা মিললো অনন্য নিদর্শন ‘বাবলা’ ফুলের

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ব্যাংছড়ি এলাকায় দেখা গেছে সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন বাবলা ফুল। এই ফুল সচরাচর এই অঞ্চলে দেখা যায় না বলে স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এই ঘটনা যেন এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

বাবলা গাছ (Acacia nilotica) সাধারণত উপমহাদেশের শুষ্ক এলাকাগুলোতে বেশি দেখা যায়। এ গাছের পাতাগুলো হলুদ রঙের ছোট ছোট বলের মতন আকৃতির এই ফুল যখন গাছে ফোটে তখন এক সাথে অনেকগুলো হয় ঝাক বেধে. ছোট ছোট তেঁতুল পাতার মত এ গাছ হালকা কাঁটাযুক্ত হয়. কাচা ফল সাদাটে রঙের হয় আর পাকলে কালো মতন. ফল দেখতে অনেকটা পুথির মালার মতন। গাছটি সাধারণত শুষ্ক ও অনুর্বর মাটিতে জন্মে, তবে কাপ্তাই অঞ্চলে এটি জন্মানো একেবারেই বিরল ঘটনা।

ব্যাংছড়ি এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রথম তারা এখানে বাবলা ফুল ফুটতে দেখেছেন , হারিয়ে যাচ্ছে বাবলা ফুল ,কোনো এলাকাতে এই বাবলা ফুল সচরাচর ভাবে দেখা যায় না তাই আমরা বাবলা গাছটাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি,স্থানীয়দের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও মাটির গুণাগুণের পরিবর্তনের কারণে এই বাবলার ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি আমরা

একজন স্থানীয় পরিবেশবিদ জানান, “বাবলা ফুল সাধারণত শুকনো ও শুষ্ক এলাকায় দেখা যায়। তবে এখানে এটি ফোটা বেশ বিরল এবং আকর্ষণীয়।প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে এই বাবলার ফুলের গাছ কমে গেছে। তবে প্রকৃতি থেকে হঠাৎ দরকারি একটি উদ্ভিদের জাত বিলুপ্ত হয়ে গেলে শূন্যতা তৈরি হয়, যা পুরো ইকো-সিস্টেমের জন্যই ক্ষতিকর। তাই এটি টিকিয়ে রাখা জরুরি এই বাবলার ফুলের গাছ, তাই এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যে নতুন একটি সংযোজন হতে পারে বলে আমি মনে করি।

ব্যাংছড়ি গ্রামের বাসিন্দা য়ংজোমা মারমা বলেন, “আমরা এখানে অনেক ধরনের গাছপালা দেখেছি, কিন্তু বাবলা ফুলের গাছের মত এখন কোনো জায়গায় সচরাচর দেখা যায় না শুধু আমাদের পাড়া এই একটা গাছ দেখা যায়। এটা আমাদের জন্য সত্যিই চমকপ্রদ।”

কাপ্তাইয়ের ব্যাংছড়ি এলাকায় বাবলা ফুলের দেখা  প্রকৃতির এক নতুন বার্তা হতে পারে। এটি শুধু একটি ফুল নয়, এটি জলবায়ু ও পরিবেশের পরিবর্তনের প্রতীক। স্থানীয়দের সচেতনতা ও প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা জরুরি।

রাইখালী রেঞ্জ  কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বললেন,বাবলা গাছের উপকারিতা ও গুণাগুণ আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বাবলা গাছের ভেষজ গুণ অনেক। এর ফুল মিষ্টি গন্ধের, গোলাকার, রঙ উজ্জ্বল হলুদ। তবে ফলগুলো চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। ফলের রং সাদা। এই গাছটির শিকড় ব্যতীত সব অংশই ঔষুধের কাজে লাগে বলে আমরা মনে করি।।

বিআরইউ

Link copied!