Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫,

হাসনাত কাইয়ূম

কৃষকের খাজনার টাকায় উপদেষ্টারা এখন নাকি হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ায়

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম


কৃষকের খাজনার টাকায় উপদেষ্টারা এখন নাকি হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ায়

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হাটঘাটে ইজারা প্রথা বাতিল করতে হবে। যে কৃষকের শ্রমে ঘামে ফসল উৎপন্ন হয় সেই কৃষকের জন্য কালা আইন বীজ বিপনন ও কৃষি বীজ আইন ২০১৮ বাতিল করতে হবে। সরকার কৃষকের নামে প্রতিবছর ভর্তুকি হিসেবে ৪০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আমার কৃষককে না দিয়ে বিদেশী করপোরেশন বিভাগকে দেয়। যেখানে আমার কৃষককে মাত্র ৫০০ টাকা ঋণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যায়।’

রোববার দুপুরে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপূত্র নদ তীরবর্তী শফিউল আলম রাজা স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।

তিনি বলেন, সবচাইতে বেশি খাজনা তোলা হয় অদৃশ্য খাজনা হিসেবে। প্রত্যেকটা প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সরকার প্রতিবছর ৮ লক্ষ কোটি টাকা খাজনা তুলে নেয়। এই খাজনা তুলে নিয়ে উপদেষ্টারা এখন নাকি হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ায়। কৃষকের খাজনার টাকা দিয়ে অফিসারদের গাড়ি কিনে দেয়া হয়। তারা গাড়ি চালায়, তাদেরকে তেল কিনে দেয়া হয়। ঢাকা শহরে দুইতলা তিনতলা রাস্তা নির্মাণে যোগান দেয়া হয়।

মহাসমাবেশে উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান নলেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়াজ রহমান, শিক্ষা ও শিশু সুরক্ষা আইন (শিশির) এর আহ্বায়ক রাখাল রাহা, অর্থনীতিবিদ দিদারুল ভূইয়া, অনুষ্ঠানের সদস্য সচীব আমিনুল ইসলাম বীর, চিলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু, প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি মনিরুল আলম লিটু, চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাওরাত হোসেন সোহেল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশভাগের পর বিভিন্ন আন্দোলনে কৃষকরা প্রাণ দিলেও সেই কৃষককে কোন সরকার মর্যাদা দেয় নাই। তাদের রক্ত চুষে সরকাররা বিদেশী কোম্পনীগুলোকে সুবিধা দিলেও আমাদের কৃষককে সবসময় বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীগুলো এখন সার-বীজ-কীটনাশকের ব্যবসা করে জমির উর্বরতা নষ্ট করলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। এখানকার তাঁতী-জেলে-কৃষক সমাজ মহাজনদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। দেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের ১২ দফা দাবী মেনে নিতে হবে। তাহলে অন্তর্বতী সরকারের যে সংস্কার আইন পরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে। কখনোই কৃষককে বাদ দিয়ে সংস্কার আইন আমরা মেনে নিবো না। দাবি বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গ মহাসমাবেশ হাওর-বাওরসহ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!