আল-আমিন, নীলফামারী
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
আল-আমিন, নীলফামারী
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
রাজাশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের আওতায় উত্তবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে রাকাব কেবিনেট তৈরী করার পরপরে নীলফামারী সদরের যাদুর হাটে একটি শাখার উদ্বোধন হয়। সেই থেকে প্রত্যন্ত ওই অঞ্চলের মানুষ ব্যাংক ঋণের সুবিধা পেয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন। কিন্তু কিছু কূচক্রিমহলের প্রভাব ও সাবেক এমপি আসাদুজ্জান নূরের নির্দেশনায় ব্যাংকটির শাখাটি তুলে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে বাবড়িঝাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে বসানো হয়।
বর্তমানে ব্যাংকটি বসানোর পয়তারা চলছে আওয়ামীলীগের নেতা ও নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি নজিনূরের ভাইয়ের ঘরে। তবে ব্যাংকের শাখাটি পূর্ণঃস্থাপনের জন্য এলাকাবাসীর ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শাখাটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাকালীন ভবনের মালিক আবুল কাসেম চৌধুরীর মেয়ে জাহানারা বেগম চৌধূরী বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি বলেন, আমার বাবা অত্র অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে জমি বিক্রি করে পৈতিক সম্পতিতে ভবন নির্মাণ করেছেন। সেই থেকে এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের অগ্রতি হয়েছে। অত্র অঞ্চলের অবহেলিত মানুষ এই শাখা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সৌহার্দ্বপূর্ণ আচরণ আর স্থানীয়দের সততায় ব্যাংকটি ভালো ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু ভিলেজ পলিটিক্সের রোসালনে পড়েছে ব্যাংকের শাখাটি। বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নামে নামকরণ করা যাদুরহাট বাজারে ব্যাংকের শাখাটি থাকায় ভিলেজ পলিটিক্সের রোসানলে পড়েছে। আওয়ামীলীগ নেতাদের এলার্জি মশিউর রহমান যাদু মিয়া। একারণে একটি কুচক্রি মহল ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর মিলে বাবড়িঝাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ করে সেখানে অস্থায়ীভাবে বসানো। কিন্তু শাখাটি স্থানান্তরের সময় হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছে তাতেও কোন লাভ হয়নি। এখন এই অঞ্চলের মানুষকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে সুবিধা নিতে হচ্ছে। দিকে স্কুলে গ্রাহকদের আনাগোনায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হয়। এখন শোনা যাচ্ছে ব্যাংকটির শাখা একজন আওয়ামীলীগের নেতার বাড়ীতে বসানোর পায়তারা চলছে।
স্থানীয়দের দাবী পূর্বের জায়গায় যাতে ব্যাংকের শাখাটি আবারো নিয়ে আসা হয়। এজন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
আরএস