Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

চট্টগ্রামে এলপিজির বাজারে চক্রের দৌরাত্ম্য, অস্থিরতার জন্য দায়ী কে?

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম


চট্টগ্রামে এলপিজির বাজারে চক্রের দৌরাত্ম্য, অস্থিরতার জন্য দায়ী কে?

মকবুল হোসেন বেসরকারি চাকরিজীবী। ২৮ হাজার টাকা বেন পান। থাকেন নগরীর চকবাজার এলাকায়। থাকেন ভাড়া বাসায়। চুলা জ্বলে এলপিজি সিলন্ডারে।

গত জানুয়ারিতে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের সর্বশেষ দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করে সরকারি সংস্থাটি। তবে এই দামে পাচ্ছেন না মকবুল হোসেন। তাকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে এলপিজি।

বাজার ঘুরে জানা গেল, কমপক্ষে ৪০-১৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এলপিজি। অসাধু চক্রের দোহাই দিয়ে চলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এমনকি বাজার মনিটরিং কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান আমার সংবাদকে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

নগরের বিভিন্ন বাজারের দোকানে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। অতিরিক্ত দামে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। বিভিন্ন কোম্পানির ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। এর মধ্যে বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, টোটালসহ নামিদামি কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডারের দাম তুলনামূলক বেশি। গ্যাসের পরিবেশক ও ব্যবসায়ীরা মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। বাড়তি দাম নিলেও রসিদ দিচ্ছেন না এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

মেসার্স মোহাম্মদিয়া ট্রেডিংয়ের মালিক মুহাম্মদ আলী আজম বলেন, বাজারে অন্তত ২০ কোম্পানির এলপি গ্যাস পাওয়া যায়। ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে হয় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও ৩০-৪০ টাকা বেশিতে। তাই বাড়তি দামে কিনে সরকার নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার বিক্রির সুযোগ নেই। কোম্পানি ও পরিবেশকরা না কমালে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাম কমাতে পারবেন না।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের তদারকি চলছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কোনো ভোক্তা যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এর বাইরে বড় পরিসরে অভিযান চালিয়ে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

অন্যদিকে এলপিজি সিলিন্ডারের বাজারে অস্থিরতার জন্য বিইআরসির ভূমিকাকেই দায়ী করেছে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘আগেও যখন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখনো বাড়তি দামে ভোক্তারা গ্যাসের সিলিন্ডার কিনেছে। বিইআরসি দাম নির্ধারণ করে দায় সেরেছে। এ দামে ভোক্তারা কিনতে পারছেন কি না এবং বাজারে দামের বিষয়টিকে তদারকি করবে, তা নিয়ে বিইআরসির স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গেও তাদের খুব একটা যোগাযোগ রয়েছে বলে কখনো শুনিনি। এই বড় একটি খাতে সাধারণ মানুষ যে কষ্ট পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই।’

ইএইচ

Link copied!