নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম জাহাঙ্গীরের (৪৫) উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় হামলায় তার সঙ্গে থাকা আরও ২ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার উপজেলার বাঙ্গড্ডা পশ্চিমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা নিহত ও গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার পরকরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে জেলা যুবদলের সদস্য আবুল কালাম (৪৬) ও কাশিপুর গ্রামের মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে বিএনপি নেতা আলী হোসেন (৫৫)।
জানা যায়, সাবেক এমপির নেতাকর্মীরা উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে ব্যবসায়ী নুরুন নবীর বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা বাজারে বিএনপির মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় পৌঁছালে সেলিম জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এতে একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়। বাকিদেরকে গুরুতর আহত করে ফেলে চলে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য আবু সায়েম শিপু বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত পেরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কাকৈরতলা বাজারে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভুঁইয়া উপস্থিত থাকার কথা।
মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা যাতে উপস্থিত না হয় পূর্বে থেকে ওঁতপেতে থাকা মোবাশ্বরের নির্দেশে কাদবা গ্রামের কামাল হোসেন মজুমদার, বাঙ্গড্ডা গ্রামের মোবারক হোসেন, বালিয়াপুর গ্রামের মো. লিটনের নেতৃত্বে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে একজন নিহত ও ২ জন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভুঁইয়া হাসপাতালে ছুটে যান।
অভিযুক্ত মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। এ মাত্র আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে শুনেছি। খবর নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। এছাড়াও অপর অভিযুক্ত কামাল, লিটন ও মোবারকের মুঠো একাধিকবার ফোন করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমাদের নেতাকর্মীরা দাওয়াত খেয়ে ইউনিয়ন বিএনপির প্রেগ্রামে যোগদানকালে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার পেটুয়া বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে একজনকে ঘটনাস্থলে মেরে ফেলে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
ইএইচ