চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
যশোরের চৌগাছায় ইরি বোরো ধান চাষের জন্য সেচের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রতিবিঘা ইরিধান চাষের জন্য এলাকা বিবেচনায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলা উন্নয়ন কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা উপজেলার মাসিক উন্নয়ন সভায় উপস্থিত সকলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন, যশোরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ চৌগাছার ডিজিএম বালী আবুল কালাম, চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মমিনুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন, চৌগাছা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবীর, ইউপি চেয়ারম্যান নরুল কদর, আতাউর রহমান লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে একজন চেয়ারম্যান সেচ মূল্যের বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় জমির ধরন ও জ্বালানি উপকরণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বিবেচনায় স্থানীয় গভীর-অগভীর নলকূপ মালিকদের নিয়ে সেচমূল্য নির্ধারণ করার কথা। নিয়ম হলো সেই সেচমূল্য মাইকিংসহ অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের জানানো। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রচার চালানো হয় না। ফলে সাধারণ কৃষক জানতেই পারে না সেচের ন্যায্য মূল্য কত। এ সুযোগে চৌগাছার বিভিন্ন এলাকায় যথেচ্ছা সেচমূল্য আদায় করে গভীর-অগভীর নলকূপ মালিকরা।
কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, চৌগাছায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বিঘা প্রতি ৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত সেচমূল্য আদায় করেন। এছাড়া অতিরিক্ত ও আগাম সেচ মূল্য না দিলে গভীর নলকূপ মালিকেরা জমিতে পানি না দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সব অভিযোগের ভিত্তিতে যশোরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ চৌগাছার ডিজিএম বালী আবুল কালাম বলেন, সেচের জন্য সরকার ভর্তুকি প্রদান করছে। কৃষিক্ষেতে যথেচ্ছা সেচমূল্য আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি প্রস্তাব করেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বিবেচনা সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ টাকা সেচ মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ সকলেই একমত হয়।এবিষয়ে গভীর নলকূপ মালিকদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে তারা অবহিত নন। চৌগাছা উপজেলায় সেচ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কি না তারা জানেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, নির্ধারিত সেচমূল্যের চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ