কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ৪৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের বিধান রয়েছে। শহর এলাকার স্কুলগুলোতে অবসরের কারণে পদ শূন্য হলে তা পূরণ করা হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় অবসরে যাওয়ার পর বেশিরভাগ স্কুলের পদগুলো শূন্যই থেকে যায়। ফলে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক নিয়মিত না পাওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলো প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জে ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫৮টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, সদর উপজেলা ১৪৩ টি পদের মধ্যে ৪৩ টি শূন্য, হোসেনপুর ১১১ টির মধ্যে ২৭টি পদ শূন্য, কটিয়ায়দী ১১৯টির মধ্যে ৪০ টি পদ শূন্য, পাকুন্দিয়া ১৯৪টির মধ্যে ৬৫টি পদ শূন্য, অষ্টগ্রাম ৮৩ টি পদের মধ্যে ২৬ টি শূন্য, বাজিতপুর ১১১ টি পদের মধ্যে ৪৯ টি পদ শূন্য, ভৈরব ৯১টি পদের মধ্যে ২৮টি শূন্য, ইটনা ৭২ টি পদের মধ্যে ৩০ টি শূন্য, কুলিয়ারচর ৭৪ টি পদের মধ্যে ২২টি শূন্য, মিঠামইন ৭৫ টি পদের মধ্যে ৫০ টি শূন্য, করিমগঞ্জ ১২৫ টি পদের মধ্যে ২৯ টি শূন্য, তাড়াইল ৭০ টি পদের মধ্যে ২৫টি শূন্য, নিকলী ৬০ টি পদের মধ্যে ২৬ টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহর এলাকায় বা শহরতলীর স্কুলগুলোতে অবসরের কারণে পদ শূন্য হলে অন্য এলাকা থেকে বদলি হয়ে পদ পূরণ করা হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে অবসরে যাওয়ার পর পদ শূন্যই থেকে যাচ্ছে। তাই প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য স্কুলের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম জানান, আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৩২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫৮টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই শূন্য পদগুলোতে ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। প্রায় চূড়ান্ত পর্যায় যাওয়ার পরপর আদালতে একটি কনডেম মামলা হওয়ার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বর্তমানে স্থগিত আছে। এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সাথে সাথেই প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলো পূরণ করা যাবে।
বিআরইউ