Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

রায়পুরায় ৬ যুবকের স্বপ্ন ডুবল ভূমধ্যসাগরে

এম নূরউদ্দিন আহমেদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

এম নূরউদ্দিন আহমেদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৮:১২ পিএম


রায়পুরায় ৬ যুবকের স্বপ্ন ডুবল ভূমধ্যসাগরে

যেন থামছেই না অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পথে  যাত্রা। দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অধিকাংশরই সলিল সমাধি হচ্ছে ভূমধ্য সাগরে। এবার লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় ট্রলারডুবিতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ৬ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। গভীর সমুদ্রেই ডুবল তাদের স্বপ্ন।

নিখোঁজরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের সাপমারা এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে জুয়েল, জয়নগর এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া, বেগমাবাদ ঝাউকান্দি এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে সায়েম, মুছাপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মোস্তাক, আরশ আলীর ছেলে রাকিব ও তুলাতলী এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান।

২৫ জানুয়ারি ওই ৬ যুবকসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায় একটি ট্রলার। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ রয়েছেন। তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, জানেন না তাদের পরিবার।

নিখোঁজ হওয়া পরিবারের স্বজনরা বলেন, প্রবাসী তোফাজ্জল ও কবিরের মাধ্যমে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে ২৫ জানুয়ারি পাড়ি দেন ৬ ছয়জন যুবক। কিন্তু ঘটনার আটদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন তাদের পরিবারের লোকজন।

লিবিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে গত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত তোফাজ্জলের বাড়িতে গেলেও পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে লিবিয়ার ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। অপরদিকে কবির মিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী জুয়েলের বাবা সাদেক মিয়া বলেন, গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন জুয়েল। লিবিয়া প্রবাসী বড় ভাই কালামের মাধ্যমে ওই দেশে যান তিনি। সেখানে তোফাজ্জলের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালি যাওয়ার চুক্তি হয়। ২৪ জানুয়ারি জুয়েলের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল তার পরিবারের। এরপর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একই অবস্থা আশিক, মুস্তাক, রাকিব ও ইমরানের। ইতালি যাওয়ার পথে তারাও ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানায় তাদের পরিবার।

নিখোঁজ ছয়জনের বাড়িতেই চলছে শোকের মাতম। সন্তানের সন্ধান পেতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসসহ প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, লিবিয়ায় ট্রলারডুবিতে ২০ বাংলাদেশি নিহতের খবর শুনেছি। সেখানে ৬ ছয়জন আছে কিনা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নেবো। মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএস

 

Link copied!