Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫,

কলাপাড়ায় ষাটোর্ধ্ব অসহায় বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম


কলাপাড়ায় ষাটোর্ধ্ব অসহায় বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বিধবা অসহায় নারী নুরজাহান বেগম। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অর্থের অভাবে স্থানীয় কাশেম সরদারের কাছে নিজের ভিটে বাড়ীটুকুও বিক্রি করেন। তবে, শর্ত থাকে কখনও ওই টাকা ফেরত দিলে তার বাড়ী তাকে ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করলেও বাড়ীর দলিল ফেরত না দিয়ে উল্টো তাকে ভূমি দস্যু আখ্যায়িত করেন কাশেম। বিচারের আশায় আইনের আশ্রয়ে গেলে মামলাবাজের কালিমা আসে তার কপালে। শনিবার সকাল ১০ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নুরহাজান বেগম।

লিখিত বক্তব্যে নুরহাজান বেগম জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় কাশেম সরদার ভাড়া করা কিছু লোক এনে তাকে ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ আখ্যায়িত করে একটি মানববন্ধন করেন। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ বানোয়াট। অথচ তিনি নিজেই একজন অসহায় ও ভুক্তভোগী বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর আগে ওই কাশেম সরদারের কাছে তার বসত বাড়ীর কিছু অংশ বিক্রি করা ছিলো। সেই টাকা ফেরত দিলে জমি ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কাশেম সরদার চলছাতুরি করতে থাকে। ২০২২ সালে তৎকালীন বাজার মূল্য হিসেবে ওই জমি বাবদ ৬ লক্ষ টাকা দাবী করলে ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম তাকে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়। বাকী ৩০ হাজার টাকা দলিল রেজিস্ট্রি করার সময় দেয়ার কথা থাকে। অথচ কাশেম সরদার তার টাকা ও দলিল কোনটি ফেরত না দিয়ে বরং তার সাথে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করতে থাকে। জমি অথবা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য কাশেম সরদারের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করেন। এতে জেলহাজত বাস করেন কাশেম সরদার। পরে আদালতে বসে আপস মীমাংসা শর্তে তার উকিলের মাধ্যমে জামিনে আসেন। অথচ জামিনে এসে তার স্ত্রী ময়নাকে দিয়ে ভুক্তভোগী নুরজাহানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। এখন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার নাতি সোনিয়া আক্তার। এসময় নুরজাহান বেগম ও তার মেয়ে জেসমিন উপস্থিত ছিলেন।

আরএস
 

Link copied!